প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে ত্রিভুজ পরকীয়া প্রেমের বলি হন প্রেমিক হাবিব মৃধা (২৭)। গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ফেলে দেওয়া হয় বিলে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় চার যুবক এবং আলোচিত সেই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হত্যার পর হাবিব মৃধার ব্যবহৃত দুটি ফোন এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রশি শিউলী আক্তার নামে ওই নারীর বাড়ির পাশের খালে ফেলে খুনিরা। প্রেমিকা শিউলীকে হাবিবকে হত্যার তথ্য জানিয়ে ঢাকায় চলে যান প্রধান ঘাতক।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এ খুনের ঘটনা ঘটে। বুধবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে হাবিব মৃধা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনপূর্বক এসব তথ্য জানান।
এর আগে, ৯ আগস্ট (সোমবার) গুপ্তের বিলে হাবিব মৃর্ধার লাশের সন্ধান মেলে। এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন নিহতের ভাই আকরাম হোসেন বাবুল। নিহত হাবিব ফরিদগঞ্জের সাহেবগঞ্জ হর্ণিদূর্গাপুর গ্রামের মৃত মনির হোসেন মৃর্ধার ছেলে।
পুলিশ জানায়, ৪ আগস্ট (বুধবার) হাবিবকে ফোনে ডেকে নিয়ে যান সাহেবগঞ্জ গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে মো. রুবেল। এ সময় এলাকার গুপ্তের বিল নামকস্থানে মো. রুবেল তার সহযোগী সিফাতউল্লাহ রাসেল, সাইফুল ইসলাম এবং পারভেজ শ্যামলকে নিয়ে হাবিব মৃর্ধাকে গলায় রশি পেছিয়ে শ্বাসরোধে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে মৃতদেহ বিলের পানিতে ফেলে দেয়। এ সময় তারা হাবিব মৃর্ধার ব্যবহৃত দুটি ফোন এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রশি শিউলী আক্তার নামে ওই নারীর বাড়ির পাশের খালে ফেলে রাখে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ জানান, প্রবাসী ফারুক হোসেনের স্ত্রী শিউলী আক্তার (২০)-এর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল হাবিব মৃর্ধা (২৮), মো. রুবেল (৩০) ও সিফাতউল্লাহ রাসেলের (২৭)। একপর্যায়ে শিউলী আক্তার দুজনকে বাদ দিয়ে হাবিব মৃর্ধার সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে। এ সময় পরিস্থিতিতে পথে কাঁটা দূর করতে মো. রুবেল এবং সিফাতউল্লাহ রাসেল তাদের অপর সহযোগী সাইফুল ইসলামকে নিয়ে হাবিব মৃধাকে খুন করে।
এদিকে, বুধবার বিকেলে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনকে চাঁদপুরের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।