সিঁধ কেটে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ঢুকে গোপনাঙ্গে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাজবাড়ী সদর উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধূ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন ঢাকার সাভারের খাগোরিয়া গ্রামের আতাউর রহমান (৪০), তার বোন ও রাজবাড়ী সদর উপজেলার পশ্চিম মূলঘর গ্রামের ইতালী প্রবাসী হুমায়ন পাটোয়ারীর প্রথম স্ত্রী আয়শা বেগম (৩৬) এবং আয়শার দুই ছেলে ইমন পাটোয়ারী ও আশরাফুল ইসলাম।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ বলেন, ‘তিন বছর আগে আমি আতাউরকে ডিভোর্স দিই। এরপর রাজবাড়ী সদর উপজেলার পশ্চিম মূলঘর গ্রামের ইতালী প্রবাসী হুমায়ন পাটোয়ারীকে বিয়ে করি।
বিয়ের পর থেকে আমি স্বামীর বাড়িতে রয়েছি। এতে করে আতাউর এবং আমার বর্তমান স্বামীর প্রথম স্ত্রী আয়শা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। যদিও আয়শা তার দুই ছেলেকে নিয়ে তার বাবার বাড়ি সাভারের খাগোরিয়া গ্রামে থাকতেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে একটি প্রাইভেটকারে চারজন আমাদের বাড়িতে আসেন। আমি তখন ঘুমিয়ে ছিলাম। এরপর তারা সুকৌশলে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে আমার মুখ চেপে ধরে মাথার চুল কাটে ও গোপনাঙ্গে মরিচের গুঁড়া দেয়। এরপর আমাকে হত্যার উদ্দেশে গ্যাসের চুলায় খুন্তি গরম করে গোপনাঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা দেয়। তখন আমার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে রাজবাড়ী থানায় একটি মামলা করেছি।’
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ইতালী প্রবাসী হুমায়নের প্রথম স্ত্রী আয়শা বেগম বলেন, ‘খাদিজা আমার ভাই আতাউরের স্ত্রী। আমার ভাইকে ডিভোর্স দিয়ে উল্টো আমার স্বামীকেই বিয়ে করেছে খাদিজা। তাকে বিয়ের পর থেকে দুই ছেলে ও আমার ভরণপোষণ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন আমার স্বামী। এ কারণে আমরা এ ঘটনা ঘটিয়েছি।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রাজবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল আহমেদ বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, প্রবাসী হুমায়নের প্রথম স্ত্রী আয়শা তার শ্বশুর-শাশুড়িকে দেখাশোনা করতেন না। এ কারণে তিনি মোবাইলের মাধ্যমে খাদিজাকে বিয়ে করে তার বাবা ও মায়ের দেখাশোনার জন্য নিজ বাড়িতে রেখে ছিলেন।’