দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পুত্রবধূকে একাধিকবার ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শ্বশুর লুৎফর রহমানকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। সোমবার রাতে পুত্রবধূ বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করলে ওই রাতেই শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
২৮ মার্চ সোমবার বেলা আনুমানিক ১১টায় উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের সিংড়া গ্রামে রাণীগঞ্জ মহিলা কলেজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই পুত্রবধূর বাড়ি পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের শাল্টি মুরাদপুর গ্রামে।
তিনি বলেন, গত ২ বছর আগে ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আজিজুল ইসলামের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। আমার স্বামী পেশায় একজন পাওয়ার টিলার চালক। ঘটনার দিন সকালে আমার স্বামী কাজে বাইরে যায় এবং আমার শাশুড়ি টিকা নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। বাড়িতে কেউ না থাকায় আমার শ্বশুর বাড়ির দরজা বন্ধ করে অনৈতিক কাজ করার চেষ্টা করে। আমি তাকে অনেকভাবে মিনতি করি- আমাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি আমাকে ছেড়ে না দেওয়ায় আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং আমার শ্বশুর পালিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, এর আগেও আমার শশুর দুইবার আমার সাথে এমন আচরণ করেছেন। আমি আমার স্বামী এবং শাশুড়িকে বিষয়টি একাধিকবার বলেছি। কিন্তু তারা বিশ্বাস করেনি।
গৃহবধূ চিৎকার করলে পার্শ্ববর্তী এক নারী এগিয়ে আসেন। প্রত্যক্ষদর্শী ওই নারী বলেন, আমি চিৎকার শুনে দরজায় এসে দেখি, দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। তখন জানালার কাছে গিয়ে দেখি তার শ্বশুর তার হাত ধরে টানাটানি করছে এবং সে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে আকুতি জানাচ্ছে।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভুক্তভোগী নারী এজাহার দায়ের করলে তাৎক্ষণিক আমরা লুৎফর রহমানকে গ্রেপ্তার করে আজ মঙ্গলবার দিনাজপুরের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।