বগুড়ার শিবগঞ্জে এক কলেজ ছাত্রীকে পাত্র দেখানোর কথা বলে অপহরণ করে তিন দিন ধরে ধর্ষণ করেছে ঘটক শাহিনুর রহমান। পরে থানা পুলিশ অপহৃত কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার এবং ঘটককে গ্রেফতার করেছে।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে ঘটককে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ঘটক শাহিনুর রহমান (৪৩) শিবগঞ্জ থানার রায়নগর ইউনিয়নের করতকোলা গ্রামের মৃত মোবারক প্রাং এর ছেলে।
জানা গেছে, শাহীনুর ঘটকালি করে জীবিকা নির্বাহ করে। একই উপজেলার মোকামতলা মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের এক ছাত্রীর বাবার সাথে ঘটক শাহিনুরের পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরে ভাল ছেলের সাথে বিয়ে দেয়ার কথা বলে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন স্থানে ঘটক শাহিনুর নিয়ে যায়। গত ১৩ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে ওই ছাত্রী কলেজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যা পার হলেও বাড়ি না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ শুরু করে। এক পর্যায় ঘটকের বাড়িতে গিয়ে ঘটককে না পেয়ে তাদের মনে সন্দেহ হয়। ঘটককে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করে না।
আরও জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে ঘটক এবং ওই ছাত্রীর সন্ধান করতে গিয়ে জানতে পারে শিবগঞ্জ থানার রহবল এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে ঘটক তার মেয়েকে নিয়ে আত্মগোপন করে আছে। শনিবার রাতে ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন সেখানে গেলে ঘটক পালানোর চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে ঘটক শাহিনুরকে গ্রেফতার এবং কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। ঘটক শাহিনুর ভাল ছেলের সাথে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ইতোপূর্বে আরো ৩ জনকে বিয়ে করে। কিন্তু পরে কেউ তার সংসার করেনি।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, অপহৃত কলেজ ছাত্রীকে ঘটক শাহিনুরের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া শাহিনুরের বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।