English

19 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

পঞ্চগড়ে বিধবা নারীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় এসআই কারাগারে

- Advertisements -

পঞ্চগড়ে এক বিধবা নারীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় আব্দুল জলিল (৪৫) নামের এক পুলিশের উপ-পরিদর্শককে (এসআই) কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদারের আদালত আব্দুল জলিলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান মিলন।

আব্দুল জলিল কুড়িগ্রাম সদর থানায় কর্মরত আছেন। তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলার উত্তর ফুলিয়া এলাকার শুকুর আলীর ছেলে।

এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা মামলা আমলে নিয়ে আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করেন আদালত।  পরে উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন পান আব্দুল জলিল।  অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রোববার পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন আবাদুল জলিল।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী তার মৃত স্বামীর ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেড়ে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।  আব্দুল জলিল সেটির তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন।  সেই সুবাদে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগ ছিলো তার।  পরে আব্দুল জলিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৬ অক্টোবর রাতে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।  এ সময় স্থানীয় লোকজনের হাতে ধরা পরেন তিনি। সে সময় ওই নারীকে বিয়ে করবেন বলে আশ্বস্ত করেন আব্দুল জলিল।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, আব্দুল জলিল আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিলেও বিয়ের কাগজ দেখাতে কালক্ষেপন করছিলো। নানা অজুহাত দেখিয়ে একসময় বদলি নেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ৭ অক্টোবর পঞ্চগড় আদালতে স্বাক্ষী দিতে আসবেন এবং সেদিনই আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যাবেন। ৭ তারিখে আসেনও এবং আমার বাড়িতেই রাতযাপন করেন। কিন্তু পরদিন আদালতে স্বাক্ষী দিয়ে আর আমার সঙ্গে দেখা করেননি। ফোনে যোগাযোগ করলে মিথ্যা বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করে বিভিন্ন রকম হুমকি দেন। বাধ্য হয়েই মামলা দায়ের করি।

আইনজীবি মেহেদী হাসান বলেন, ন্যায় বিচার পেতে ভুক্তভোগী নারী আদালতে এসেছেন।  আদালত মামলা আমলে নিয়ে অভিযুক্ত এসআই আব্দুল জলিলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন