টাঙ্গাইল শহরের আকুর টাকুর পাড়ার বটতলা পুরাতন বাজার এলাকার একটি ৬তলা ভবনের ৩তলার ফ্ল্যাটের দারজার তালা ভেঙে খাদিজা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, পায়ের রগ কাটার পর শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেছে স্বামী রাশেদুল ইসলাম। খাদিজার বাড়ি কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত নুরুল হকের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, খাদিজা বেগম ও তার স্বামী রাশেদুল ইসলাম বটতলা পুরাতন বাজারের পাশে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। পরে রাশেদুলের পরিচিত রিনা নামের এক নারীকে সাবলেট হিসেবে ওঠান। রিনার সঙ্গে রাশেদুলের পরকীয়ার অভিযোগে কয়েক দিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে পারিবারিক কলহ চলছিল।
গতকাল রোববার তাদের ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ দেখে বাসার মালিক ও পাশের বাসার ভাড়াটিয়ারা তালা ভেঙে ভেরতে প্রবেশ করেন। ঘরে খাদিজার মরদেহ দেখতে পেয়ে তারা পুলিশে খবর দেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে রাশেদুল ইসলাম ও তার পরকীয়া প্রেমিকা রিনার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার পর থেকে রাশেদুল ও রিনার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, পরকীয়ার জের ধরে গৃহবধূ খাদিজাকে হত্যা করা হয়েছে।
খাদিজা বেগমের ভাই ইমাম আলী বলেন, ‘আমার বোনকে তার আগের স্বামীর থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে বিচ্ছেদ করানো হয়েছে। সে কিছু দিন ধরে টাঙ্গাইল আদালতে এক আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ করত।’
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছালাম মিয়া জানান, খবর পাওয়ার পর খাদিজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পায়ের দুই রগ কাটা ছিল। এ ছাড়া তার মুখে কাপড় পেঁচানো এবং বালিশচাপা দেওয়া ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেলার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।