লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় পুত্রবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ দৃশ্য দেখে লজ্জায় বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ওই নববধূর স্বামী হাবিবুর রহমান (২৫)। রোববার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার উত্তর তালুক পলাশী গ্রামে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। হাবিবুর ওই গ্রামের মোকসুদার রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উত্তর তালুক পলাশী গ্রামের মোকসুদার রহমানের ছেলে অটোচালক হাবিবুর রহমান তিন মাস আগে প্রতিবেশী এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে নববধূ শ্বশুর বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। স্বামী দিনের বেলায় অটো চালাতে বাইরে ব্যস্ত থাকেন। তার শাশুড়িও অন্যের বাড়িতে কাজে যান। এ অবস্থায় শ্বশুর মোকসুদার রহমানসহ পুত্রবধূ বাড়িতে থাকেন।
গত সপ্তাহে নববধূ জ্বরে আক্রান্ত হলে ওষুধ এনে দেন শ্বশুর মোকসুদার রহমান। এ সময় নববধূকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করেন তিনি। পরের দিনও শ্বশুর তাকে কু প্রস্তাব দিলে পুত্রবধূ নারাজী জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্বশুর নববধূকে মারধর করলে চোখে আঘাত পান তিনি। অবশেষে দ্বিতীয় দফায় পুত্রবধূকে ধর্ষণ করেন লম্পট শ্বশুর মোকসুদার রহমান (৪৮)। এভাবে সপ্তাহ ধরে লাগাতার ধর্ষণের শিকার নববধূ বিষয়টি তার স্বামী ও শাশুড়িকে জানান।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) হাবিবুর অটোরিকশা নিয়ে বাইরে গিয়ে কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফিরে এসে নিজ চোখে অপকর্ম দেখে বাবার ওপর ক্ষিপ্ত হন। এসময় লম্পট বাবাকে ধাওয়া করেও ধরতে পারেনি।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিয়ে বাবা ছেলের মাঝে পুনরায় বিতর্ক হলে নিজ বাড়িতে প্রকাশ্যে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান অটোচালক হাবিবুর রহমান। এসময় চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নির্যাতিতা নববধূ জানান, বাড়িতে কেউ না থাকায় প্রথমদিন ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করে। দ্বিতীয় দিন বাধা দেওয়ায় চোখে ঘুসি মেরে আহত করে পরে ধর্ষণ করেন। এভাবে সাতদিন লাগাতার ধর্ষণ করেন। বিষয়টি স্বামী ও শাশুড়িকে জানালে তারা প্রথমে বিশ্বাস করেননি। শেষদিন স্বামী নিজেই দেখেছেন। এই ক্ষোভে তিনি বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। ওই নববধূ লম্পট শ্বশুরের বিচার দাবি করেন।
এ ঘটনার পর থেকে বাড়িতে তালা দিয়ে সপরিবারে পালিয়েছেন লম্পট মোকসুদার রহমান।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানান, লম্পট মোকসুদার রহমান অনেক মেয়ের এমন সর্বনাশ করেছেন। একাধিক গ্রাম্য বিচারে তাকে সতর্ক করা হলেও তার চরিত্রের কোনো সংশোধন হয়নি।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোজাম্মেল হক বলেন, শ্বশুর কর্তৃক নববধূ ধর্ষণের ঘটনা লোকমুখে শুনেছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই কুলাঙ্গার কোন ক্ষমতায় এমন পাপাচার করেছে সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা জরুরি এমন ন্যাক্কারজনক খবর তৈরি করে সে এই জেলার ঐতিহাসিক ঐতিহ্য কে কলঙ্ক লেপন করেছে এর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া
এবং এ বিষয়ে আরও গবেষণা করা প্রয়োজন