English

21 C
Dhaka
বুধবার, নভেম্বর ২০, ২০২৪
- Advertisement -

ধুনটে তৈ তৈ গান এখন ইভটিজিংয়ের ভাষা!

- Advertisements -

কারিমুল হাসান, ধুনট (বগুড়া): সম্প্রতি খৈয়াম সানু সন্ধি এবং ম্যাক্স রহমানের কথা ও সুরে নাসির উদ্দিন খানের গাওয়া “তৈ তৈ তৈ তৈ তৈ, আমার বৈয়ম ফাখি খৈ” গানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। শহর বা গ্রামে গানের অডিও ও ভিডিও মিউজিক প্লেয়ারে বাজিয়ে বিনোদন নিচ্ছেন অনেকে। অনেকে আবার নিজ কন্ঠে সুর তুলে গেয়ে যাচ্ছেন আপন গলায়। গানটি সামাজিক অপরাধ মূলক কাজে ব্যবহার করছেন অনেকে। কেউ কেউ ইভটিজিং করতে তৈ তৈ বৈয়ম ফাকি গানটি বেছে নিয়েছেন হাতিয়ার হিসেবে।

৯ মে মঙ্গলবার সকাল ৯টা একটি রিজার্ভ ভ্যান গাড়িতে চলে ধুনটে এসএসসি পরীক্ষা দিতে আসে কিছু শিক্ষার্থী। ভ্যানটি ধুনট ডিগ্রী কলেজের হেলিপ্যাডে এসে নষ্ট হয়। তখন পরীক্ষার্থীরা অন্য ভ্যানের জন্য ১০ মিনিট অপেক্ষা করে। পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা মিনি ট্রাকের উপর থেকে তৈ তৈ বৈয়ম ফাকি গানটি গেয়ে তাদের উত্ত্যাক্ত করতে থাকে।

পরে পরীক্ষার্থীরা বিরক্ত হয়ে হেটেই হলের দিকে অগ্রসর হয়। উপজেলার পেঁচিবাড়ী এলাকার মানিক হাসান নামের এক যুবক জানান, গত ৮ মে আমার বড় বোনের সাথে ব্যাক্তিগত কাজে হুকুম আলী বাসস্ট্যান্ডে যাই। আমাদের দেখে হঠাৎই বিপরীত দিক থেকে আসা দুইটি চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে তৈ তৈ বৈয়ম ফাকি গানটি গেয়ে ওঠে। এতে আমি ও আমার বড় বোন বিব্রতবোধ করি।

শুধু বহিরাগতরাই গানের এই বাক্য গুলি দিয়ে ইভটিজিং করছে এমনটা নয়। স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয় চলাকালিন সময়ে ছাত্ররাও গানের বাক্য গুলি ব্যবহার করে একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের মনযোগ আকৃষ্ট করতে দেখা যায়। এছাড়াও কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত ওয়াশরুমে তৈ তৈ লিখে বিকৃত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতেও পিছিয়ে নেই অনেকে। জসিম উদ্দিন নামের এক কৃষক বলেন জমিতে ধানের কাজ করার সময় হঠাৎ তৈ তৈ শুনে হাঁস মনে করে দাঁড়িয়ে যাই। দেখতে পাই সড়কের উপরে ২টি ছেলে একটি মেয়েকে তৈ তৈ বলে ডাকছে। এটা আসলে কি আমি বুঝিনা।

স্থানীয় বিশিষ্ট জনেরা বলেন, কিছু বিনোদনের ভাবার্থ না বোঝায় সমাজের উপর এতটাই বিরুপ প্রভাব বিস্তার করে, যা যুব সমাজকে অশালিন কর্মকান্ডের দিকে নিয়ে যায়।

তনি নামের এক কলেজ ছাত্র জানান, গান বা সঙ্গীত বিনোদনেও যে সামাজিক ক্ষতির কারন হতে পারে তা বর্তমান সমাজের ১৬/১৭ বছর বয়সী কিছু কিশোরদের মুখে তৈ তৈ শুনে উপলব্ধি করা যায়। সমাজের এসকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পরিবার ও প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা নেয়া উচিত বলে মনে করেন স্থানীয় এক সমাজপতি।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন