ধর্ষণ মামলায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদ হোসেন কালাম মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে নগরীর বিমান বন্দর থানায় মামলা দায়েরের পর কালাম মোল্লাকে গ্রেফতার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে কালাম মোল্লার নিজ বসত বাড়ির কাছে একটি টিনসেড ঘরে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।
কালাম মোল্লা নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং বরিশাল বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি। তার ভাই লিটন মোল্লা সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের টানা দুইবারের চেয়ারম্যান। নির্যাতিত তরুণী অভিযুক্ত কালাম মোল্লার প্রতিবেশী এক মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে এবং নগরীর সদর রোডের একটি ডাগায়নস্টিক সেন্টারের কর্মচারী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করে আসছিল কালাম মোল্লা। সবশেষ বৃহস্পতিবার রাতে কালাম মোল্লা তার বাড়ির পাশে একটি টিনসেড ঘরে নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। পরে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে ওই তরুণী নগরীর বিমান বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। তাকে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে প্রেরণ এবং মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমান বন্দর থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার।
অপরদিকে, এ ঘটনার পর কালাম মোল্লা কুয়াকাটা যাওয়ার পথে শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করেছে নগর পুলিশ। কালাম মোল্লাকে গ্রেফতারের বিষয়টি স্বীকার করলেও তাকে কোথা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানাননি মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. জাকির হোসেন মজুমদার।
স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই তরুণী অবিবাহিত এবং কালাম মোল্লার প্রতিবেশী। তার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। কালাম মোল্লার সাথে ওই তরুণীর পূর্ব পরিচয় এবং ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল বলে এলাকায় লোকমুখে প্রচার আছে। এর আগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেছিলেন ওই তরুণী। কালাম মোল্লার পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় রাজনৈতিক চাপ এবং প্রতিকূল পরিবেশের কারণে ওই মামলার কোনো প্রতিকার আজ পর্যন্ত তিনি পাননি।