বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বর সুলতান হাওলাদারের টর্চার সেলে দুই ভাইকে নির্যাতনের ঘটনায় মূলহোতা মেম্বরপুত্র জাকিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে উপজেলার কানাই নগরের জোড়া ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জাকির চাঁদপাই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বর সুলতান হাওলাদারের ছেলে।
নির্যাতিতদের ভাই কাইনমারীর গ্রামের কুমুদ সরকার জানান, আমার দুই ভাই বিনোদ সরকার ও বিপ্লব সরকারকে শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে মোংলা পোর্ট পৌরসভার বাংলাদেশ হোটেলের সামনে থেকে তুলে নেয় মেম্বর সুলতান ও তার ছেলেরা। পরে সিঙ্গাপুর মার্কেটে ও কাইননগরে গুচ্ছগ্রামে নিয়ে তাদের টর্চার সেলে বিবস্ত্র করে আমার ভাইদের ৫ ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় নির্যাতন চালায় তারা।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হত্যাচেষ্টার নিমিত্তে নির্যাতন মামলায় উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বর সুলতান হাওলাদার তার ছেলে জাকির হাওলাদার ও কালাম হাওলাদারসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোংলা থানার এসআই মো. হাদীউজ্জামান খাঁন বলেন, নির্যাতনের শিকার বিনোদ ও বিপ্লবের ভাই কুমুদ সরকার শনিবার রাতে মোংলা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত জাকিরের নামে মোংলা থানায় নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ৬টি মামলা রয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলার কানাইনগরের জোড়া ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ মামলায় এজাহারভুক্ত বাকি ১৩ আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, দুই ভাইকে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি মেম্বর সুলতান হাওলাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ শুনেছি। মামলার চার্জশিট দেওয়ার পরই ইউপি সদস্য সুলতান হাওলাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।