বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় ইউপি সদস্য ননী গোপাল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এক স্কুল ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের পর লোকলজ্জার ভয়ে ওই ছাত্রী ঘরের আড়ায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। পুলিশ আলামত সহ ছাত্রীকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিয়েছে।
সোমবার (০৩ মে) তাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। থানায় ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।
ইউপি সদস্য ননী গোপাল প্রথমে ছাত্রীর পরিবারকে করোনার ত্রাণ দেয়ার কথা বলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুতির কাজে ব্যস্ত রাখে এবং পরে বাড়িতে বড়রা না থাকার সুযোগে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলে তার পরিবার জানায়।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বাবা বলেন, রবিবার (০২ মে) বেলা ১১ টার দিকে চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডে সদস্য ননী গোপাল বিশ্বাস আমাদের বাড়িতে আসেন। এ সময় তিনি করোনার সাহায্য দেওয়ার কথা বলে আমার কাছে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিসহ অন্যান্য কাগজপত্র ও মোবাইল নাম্বার চান। এরপর আমি ব্যবসার কাজে এবং আমার স্ত্রী ওই কাগজের ফটোকপি করতে চিতলমারী সদর বাজারে যাই। ঘণ্টা খানেক পরে আমার স্ত্রী বাড়ি ফিরে দেখে, ঘরের আড়ায় ওড়না দিয়ে আমার মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালাচ্ছে। তখন তাকে জিজ্ঞাসা করলে, সে জানায় আমরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ননী গোপাল বিশ্বাস তাকে ধর্ষণ করেছে।
সোমবার সকালে চিতলমারী থানার ওসি (তদন্ত) মো. ইকরাম হোসেন জানান, ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য আজ বাগেরহাট সিভিল সার্জনের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। সেখান থেকে ওই ছাত্রীর ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করা হবে। আসামি ননী গোপাল বিশ্বাসকে আটকের চেষ্টা চলছে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ননী গোপাল বিশ্বাস পলাতক এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।