কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী ও তাঁর ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার দুপুরে উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের পূর্বপাড়ার ভুঁইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা। নিহত শুক্কুর আলী (৪৮) ওই বাড়ির বাসিন্দা। পুলিশের হেফাজতে থাকা তাঁর স্ত্রীর নাম খোদেজা আক্তার শিল্পী ও ছেলে শাহিন আলম।
স্থানীয়রা জানায়, খোদেজা আক্তার শিল্পীর বাবার বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার মঠবাড়িয়া গ্রামে আর তাঁর স্বামী শুক্কুর আলীর বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। প্রায় ২০ বছর আগে তাঁরা জায়গা কিনে চৌদ্দগ্রামের গজারিয়া গ্রামে বসবাস শুরু করছেন। তাঁদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। প্রায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থাকত। রবিবার দুপুরে হঠাৎ করে তাঁদের ঘরে চিৎকার শুনতে পায় প্রতিবেশীরা। পরে এলাকাবাসী তাঁদের টয়লেটে গিয়ে শুক্কুর আলীর গলা কাটা রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়। এ সময় খোদেজা আক্তার শিল্পী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাঁকে আটক করে। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘শুক্কুর আলীর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসে দেখি তার গলা কাটা রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। আমি মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তার স্ত্রী খোদেজা আক্তার শিল্পী আমাকে বলে- শেভ করতে গিয়ে ব্লেড দিয়ে গলা কেটে শুক্কুর আলী মারা গেছে। তবে স্থানীয়রা বলছে শুক্কুরকে হত্যা করেছে তাঁর স্ত্রী। ‘
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শুক্কুর আলী মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর স্ত্রী খোদেজা আক্তার শিল্পী, ছেলে শাহীনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।