গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বহিরাগত লোকজন নিয়ে ছেলের বাড়িতে হামলা ও ছেলের বৃদ্ধ বাবাকে পিটিয়ে আহত করেছেন মেয়ের বাবা। পরে তিনি তার মেয়েসহ টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার চুরি করে পালিয়েছেন। এ ঘটনায় বুধবার রাতে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আহত বৃদ্ধ হলেন- কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত কুসুম আলীর ছেলে হযরত আলী (৭৫)।
এলাকাবাসী ও আহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত চার বছর আগে ওই বৃদ্ধ হযরত আলীর ছেলে রফিকুল ইসলামের সাথে পারিবারিকভাবে পার্শ্ববর্তী সাভারের আশুলিয়া থানার নাল্লাপোল্লা গ্রামের আজহার আলীর মেয়ে আফছানা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের চার বছরের দাম্পত্য জীবনে ২১ মাস বয়সী হোসাইন এবং ৯ মাস বয়সী ইয়াসিন দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। কিন্তু রফিকুলের শশুর আজাহার তার মেয়ে আফছানাকে সর্বসময় নিজের বাড়িতে রাখতে চান। এ বিষয় নিয়ে মেয়ের জামাই রফিকুল ও তার পরিবারের সাথে তাদের বিরোধের সৃষ্টি হয়।
এর জেরে বুধবার সন্ধ্যায় আফছানার বাবা আজহার আলী, মা জহুরা বেগম, নানা রওশন আলী, রনি, খোদেজাসহ আরও ৭/৮ বহিরাগত লোকজন মেয়ের জামাই বাড়ি হামলা করে। এ সময় জোর করে আফছানাকে বাবার বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে রফিকুলের বৃদ্ধ বাবা হযরত আলী বাঁধা দেন। এতে মেয়ের বাবা ও ফুফাত ভাই রনি ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলের বাবা হযরত আলীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তারা ঘরের ভিতরে সু-কেসে থাকা স্বর্ণালংকার, দেড় লাখ টাকাসহ ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে।
পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় বৃদ্ধ হযরত আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ছেলে রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত মেয়ের বাবা আজহার আলী জানান, আমার মেয়েকে আনতে যাওয়ার পর মেয়ের জামাইসহ ওনারা খারাপ আচরণ করলে একটু ঝগড়া হয়। কিন্তু টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুট করা হয়নি। কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান জানান, ওই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।