কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা ইউপির সাবেক সদস্য মতিউর রহমান মতি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। চোরাই গরু বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি।
পুলিশের দাবি, চোরাই গরু বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধে দু’বারের ইউপি সদস্য মতিউর রহমান মতিকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। পরে লাশটি ফসলি জমিতে ফেলে রাখা হয়। নেত্রকোনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রিমি সাহার কাছে এমনই জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার সাজু খান।
হত্যা মামলা হলে গত বুধবার রাতে পোগলা ইউনিয়নের মূল পোগলা গ্রামের সাজু খান (৩৫) ও তাঁর সহযোগী মো. আপেলকে (২১) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আজ শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জুনেব খান জানান, মতিউর রহমান মতি হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার সাজু খান আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তার সঙ্গে আপেলসহ কয়েকজনের জড়িত থাকার কথা জানা গেছে। আপেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড চাওয়া হবে।
গত মঙ্গলবার ভোরে মতিউর রহমান মতির মোবাইল ফোনে কল আসে। পরে দু’জন লোক এসে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে তাঁকে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে ছেলে বাবুল মিয়া রামনাথপুর এলাকার একটি পতিত জমিতে তাঁর বাবার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এই ঘটনায় গত বুধবার সকালে নিহতের প্রথম স্ত্রী আয়েশা খাতুন কলমাকান্দা থানায় হত্যা মামলা করেন।