চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত আক্তারুজ্জামান উড়ালসড়কে অভিযান চালিয়ে পাঁচ কিশোরসহ ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এরা উড়ালসড়কের ওপর-নিচে অবস্থান করে মাদকসেবন ও গণউপদ্রব তৈরিতে জড়িত। তারা ছোটখাট ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত বলে ধারণা পুলিশের।
২ আগস্ট ২০২০ শনিবার রাত থেকে রোববার বিকেল পর্যন্ত উড়ালসড়ক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কাশেম ভূঁইয়া।
ওসি জানান, গ্রেফতার ২১ জনের মধ্যে সাতজনকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার দুপুরে ১৩ জন এবং বিকেলে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজন কিশোর। বাকিদের অধিকাংশই যুবক।
এরা আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নিচে এবং ওপরে নির্জন স্থানে বসে মাদকসেবন করে। সন্ধ্যার পর অন্ধকার সেতুতে এরা লোকজনকে অহেতুক বিরক্ত করে। আমাদের ধারণা, তারা ছোটখাট ছিনতাইয়েও জড়িত থাকতে পারে। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ পাইনি। সেজন্য ১৬ জনকে মহানগর অধ্যাদেশে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাঁচ কিশোরকে আদালতের মাধ্যমে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে’, বলেন ওসি।
চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন উড়ালসড়কে সূক্ষ্ম রশি বেঁধে চলন্ত মোটরসাইকেলকে দুর্ঘটনায় ফেলে আরোহীর কাছ থেকে টাকা-মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে সম্প্রতি র্যাব ও পুলিশ মিলে অন্তঃত ১৫ জনকে গ্রেফতার করে। উড়াল সড়কগুলোতে চলাচল নিরুপদ্রব রাখতে পুলিশও ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করছে।
ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, ‘বিভিন্নসময় আমরা ফ্লাইওভারে সুতা বেঁধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ পেয়েছি। তবে এর সঙ্গে জড়িতরা একেবারেই শিশুবয়সী। তখন আক্রান্তদের অনুরোধেই অনেককে ধরেও আমরা ছেড়ে দিই। সুনির্দিষ্টভাবে কেউ বড় ধরনের কোনো ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন বলে আমাদের কাছে অভিযোগ করেননি। তবে ফ্লাইওভারগুলোকে কেউ যাতে অপরাধের আখড়া না বানায়, সেজন্য আমরা সতর্ক আছি।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন