শফিক আহমেদ সাজীব: চট্টগ্রামের আনোয়ারায় প্রেমিকার বাড়ির পাশ থেকে মো. সাকিব (২৫) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত মো. সাকিব (২৫) উপজেলার বরুমচড়া এলাকার দরফ আলীর ছেলে। তিনি আনোয়ারা সদরে সাদ মুসা গ্রুপের একটি পোশাক তৈরির কারখানায় চাকরি করতেন।
এর আগে সোমবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় বরুমচড়া রাস্তার মাথা এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এরপর মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সাকিবের বড় বোন নাজমিন আক্তার বলেন, ‘আমার ভাই সাকিব খুব শান্ত স্বভাবের ছেলে। পাশের বাড়ির মুখলেছ রহমানের মেয়ে আয়শা ছিদ্দিকা নূপুরের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি আমরা জানার পর আমার ভাইকে (সাকিব) বলি তুই বললে মেয়েটির পরিবারের সাথে আমরা কথা বলব। তখন সাকিবের সম্মতিতে আমরা গত শুক্রবার মেয়ের পরিবারের সাথে কথা বলি। মেয়ের পরিবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই মেয়েকে সাকিবের হাতে তুলে দিতে চায়। এতে সাকিব নারাজ হয়ে জবাব দিয়ে দেয়।
এরপর রোববার সন্ধ্যায় সে ঘর থেকে বের হয়। আমরা মনে করছি ফ্যাক্টরিতে রাতের ডিউটিতে গেছে। সোমবার সারাদিনও ঘরে না আসায় খোঁজাখুঁজি করি, বিকেলে নূপুরদের ঘরের সামনের সবজি বাগানে আমার ভাইয়ের ক্ষত-বিক্ষত লাশটি এলাকার একজন মুরব্বি দেখে আমাদের জানান।
নাজমিন বলেন, ‘আমার ভাইকে নূপুরের পরিবারের লোকজন খুন করেছে। মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে আমার ভাইয়ের মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন করে বলে, এহন ক্যান ল্যার, গম লাগের না (এখন কেমন লাগছে, ভালো লাগছে নাকি); এই কথা বলার পর পরিচয় জানতে চাইলে ফোন কেটে দেয়।
সাকিবের মামা মো. ইদ্রিচ বলেন, ‘সাকিবের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে। সাকিবের মাথা ফেটে মগজ পর্যন্ত বের হয়ে গেছে। মারার পর সাকিবের মুখে, শরীরে বিষ ছিটিয়ে দিয়েছে। সাকিবের লাশের সন্ধান পাওয়ার আগেই নূপুরের পরিবারের সবাই ঘর ছেড়ে পালিয়েছে। তারা যদি খুন না করতো সাকিবের লাশ পাওয়ার আগেই তারা পালালো কেন? নিশ্চয় তারা খুন করেছে। খুন করে সাকিবের সারা শরীরে বিষ ঢেলে দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ওসি এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, ‘নিহত সাকিবের পরিবারের অভিযোগ, তাকে খুন করা হয়েছে। সাকিবের পরিবার নূপুর নামের একটি মেয়েকে দায়ী করছে। মেয়েটির সঙ্গে সাকিবের বিভিন্ন ছবি ও হাতের লেখা চিঠি থানায় দিয়েছে সাকিবের পরিবার। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।