কাঠালিয়া উপজেলার তারাবুনিয়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে জখম করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী।
ঘটনার পর থেকে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে অজ্ঞাতস্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে এসআই আলমগীর। কাঠালিয়া উপজেলার চেচরীরামপুর গ্রামের ফারুক হোসেন হাওলাদারের স্ত্রী গৃহবধূ মাকসুদা আক্তার নিপা।
পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সাহিন হাওলাদার জানান, তারাবুনিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাথে ভুক্তভোগী ওই নারীর ভগ্নীপতির চায়ের দোকানে যাতায়াতের সুবাদে পরিচয় হয় এসআই আলমগীরের সাথে। গতকাল সোমবার রাতে এসআই আলমগীর সেই নারীর বোনের বাড়িতে প্রবেশ করে। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এসআই আলমগীরকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
এদিকে একজন পুলিশ কর্মকর্তার দ্বারা এ ঘটনা শিকার হওয়া নারীকে পরিবারের সদস্যরা ভয়ে সাময়িক আড়ালে রাখেন। সেই সুযোগে পুলিশও ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করলে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি তেমন জানাজানি হয়নি। তবে বুধবার ভিকটিম সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত জানালে উপজেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে কাঠালিয়া থানার ওসি মুরাদ আলী জানান, গত সোমবার রাত ৮ টার দিকে গৃহবধূ মাকসুদা আক্তার নিপা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে জানায় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছি। তখন গৃহবধূ জানায়, তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করায় কুপিয়ে আহত করে আলমগীরের মোবাইল ফোন রেখে দেওয়া হয়েছে। যদিও মোবাইলটি সে দেখাতে পারেনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে এসআই আলমগীরকে পায়নি কাঠালিয়া থানা পুলিশ।
ওই মহিলাকে ঝালকাঠি গিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে কাঠালিয়া থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করতে বলে দিয়েছি। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত সে কোনো অভিযোগ করেনি। এসআই আলমগীরের সাথে ঘটনার পর থেকে ওসির দেখা বা কথা হয়নি বলেও তিনি জানান।
এ প্রসঙ্গে কাঠালিয়া থানার তারাবুনিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমি এ ধরনের একটি ঘটনার কথা শুনেছি। কিন্তু আমি ছুটি শেষে মঙ্গলবার ক্যাম্পে ফেরার কারণে কিছুই জানিনা। তবে ক্যাম্পে এসআই আলমগীরকে পাওয়া যায়নি।