গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ধর্ষণের পর সেতু আক্তার নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করে লাশ বাড়ির পাশে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার বাশাকৈর এলাকায় ওই সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আজহার সিকদার বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ অভিযুক্ত ভাগ্নে, স্বামী রাসেল, মামাতো ভাগ্নির স্বামী আরিফকে আটক করেছে। নিহত গৃহবধূ সেতু আক্তার (১৯) কালিয়াকৈর উপজেলার বাশাকৈর এলাকার রাসেল হোসেনের স্ত্রী।
আটককৃতরা হলেন- টাঙ্গাইলের দেলদোয়ার থানার দুল্লাহ এলাকার এক কিশোর, একই জেলার মির্জাপুর থানার চানপুর এলাকার আব্দুল হকের ছেলে আরিফ হোসেন (২৫), কালিয়াকৈর উপজেলার কম্বলপাড়া এলাকার ছানোয়ার হোসেনের ছেলে রাসেল (২৪)।
জানা যায়, কালিয়াকৈরের কম্বলপাড়া এলাকার ছানোয়ার হোসেনের ছেলে রাসেল হোসেনের সঙ্গে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার সিলিমনগর এলাকার আজাহার সিকদার মেয়ে সেতু আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এক পর্যায়ে পাশের ভাড়া বাসার কিশোর ভাগ্নের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই গৃহবধূর। ওই কিশোর ও গৃহবধূ সেতু সম্পর্কে মামি ভাগ্নে। এসব বিষয় নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে ঝগড়া লেগে ছিল।
সর্বশেষ গত পাঁচ দিন আগে ঝগড়া করে স্বামী রাসেল ভাড়া বাসা থেকে বাবার বাড়ি কম্বলপাড়া চলে যান। গৃহবধূ সেতু একা থাকার খবর পেয়ে অভিযুক্ত কিশোর গত সোমবার দুপুরে তার মামা রহুল আমিনের বাড়িতে আসে। রাতে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে কিশোর। এরপর মামি সেতু বিষয়টি সবাই জানিয়ে দেওয়ার কথা বললে কাঠের টুকরো দিয়ে তাকে হত্যা করে ভাগ্নে। পরে গৃহবধূর লাশ বাসার পাশে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে দেয়।
আজ বুধবার সকালে সেফটিক ট্যাংকের ভেতরে গৃহবধূর লাশ দেখে পুলিশে খবর কিশোরের মামা রুহুল আমিন। পুলিশ ট্যাংকের ভেতর থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ভাড়া বাড়ির পাশের সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।