কক্সবাজারের টেকনাফে ক্রিকেট খেলার বল নিয়ে আসাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে স্থানীয় নারী-পুরুষ ও পুলিশসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার বিকেলে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাংয়ের রইক্ষ্যং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীদের মধ্যে আহতরা হলেন টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্ষ্যংয়ের আবুল কাসেম, আবুল হোসেন, মো. শরিফ, রোকেয়া বানু, আছিয়া খাতুন, ছেনুয়ারা বেগম, মাইন উদ্দিন, মো বেলাল উদ্দিন, জয়নাল আবেদিন, দেলোয়ারা বেগম, রিনা আক্তার। আহত স্থানীয় তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত এপিবিএন সদস্যরা হলেন কনস্টেবল মো. দেলোয়ার, রনি ও রবিউল হাসান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নুরুন্নবী।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, উনচিপ্রাং ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশের ২০-২২ সদস্য ক্যাম্পের কাঁটাতারের বাইরে রইক্ষ্যং এলাকার পাশের জমিতে ক্রিকেট খেলছিলেন। এ সময় তাদের বলটি গ্রামের পাশে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পানির পাম্প ও ক্ষেতে গিয়ে পড়ে।
পরে এপিবিএনের সদস্যরা একজন রোহিঙ্গাকে কাঁটাতারের ওপর দিয়ে ভেতরে বলটি আনার জন্য পাঠালে স্থানীয় বেলাল উদ্দিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বেলালকে মারধর করে টেনে-হেঁচড়ে এপিবিএন সদস্যরা ক্যাম্পের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা বাধা দেয়। এ সময় এপিবিএনের ২০-৩০ জন সদস্য ক্রিকেট ব্যাট ও স্ট্যাম্প দিয়ে হামলা চালায়। এতে স্থানীয় নারী-পুরুষ ও পুলিশসহ ১৪ জনকে আহত হন।
এ ঘটনায় ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘গতকাল বিকেলে রইক্ষ্যং ক্রিকেট খেলার মাঠে স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গে এপিবিএনের কয়েকজন সদস্যদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়। এতে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’