কুমিল্লা সিটি কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ জোড়া খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রের যোগানদাতাসহ কিলিং স্কোয়াডের আরও দুই সদস্য নাজিম উদ্দিন ওরফে নাদিম এবং রিশাতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। এসময় তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। বিচারক চন্দন কান্তি নাথ আসামিদের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোমবার রাতে জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন নগরীর শুভপুর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মো. নাজিম ওরফে নাদিম (৩০) এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. রিশাত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মঞ্জুর কাদের ভুইয়া জানান, সদ্য গ্রেফতার দুই আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিজ্ঞ বিচারক প্রত্যেকের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ঘটনায় ব্যবহৃত আরো কিছু অস্ত্র উদ্ধার বাকি রয়েছে- তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। আর নেপথ্যে কারা আছে তা বের করতেই জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এই মামলায় মোট চার আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবান্দি দিয়েছে। তারা ঘটনার আদ্যোপান্ত বিবরণ দিয়েছে। এরপরও আরো কিছু তথ্য আমাদের জানা প্রয়োজন। সেজন্য তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। ঘটনায় যারা জড়িত তাদের তথ্য এসেছে। এখনো তদন্ত শেষ হয়নি, তদন্তে আরো বিস্তারিত জানা যাবে।
পুলিশ জানায়, কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ জোড়া খুনের ঘটনায় সিসিটিভি শনাক্তকৃত কিলিং স্কোয়াডের সদস্য মো. নাজিমকে নগরীর শুভপুর এলাকা থেকে এবং তদন্তপ্রাপ্ত কিলিং স্কোয়াডের সদস্য ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রের অন্যতম যোগানদাতা মো. রিশাতকে চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর বিকালে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকায় কাউন্সিলরের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অবস্থানকালে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করে মুখোশ পরিহিত সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে পুলিশ ও র্যাব এ পর্যন্ত এজাহারনামীয় ৭ জনসহ সিসিটিভি ফুটেজ এবং তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কিলিং স্কোয়াডে অংশ নেয়া আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে প্রধান আসামি শাহ আলমসহ ৩ জন নিহত হন।