কিশোরগঞ্জে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে পৃথক দুটি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২ জন। এতে আরো অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। জেলার বাজিতপুর ও তাড়াইল উপজেলায় ৭ জুন সোমবার এইসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বাজিতপুর : কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেয়ারম্যানের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। নিহত বৃদ্ধার নাম মজিবুর রহমান মজু (৬০)। এ ঘটনায় দু’পক্ষের আরো ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহত মজু মিয়া বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়নের বাহেরনগর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।
সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে ৭ জুন সোমবার দুপুরে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া নোবেলের সাথে একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজবাহ উদ্দিন সাফির মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জের ধরে সোমবার দুপুরে বাহেরনগর গ্রামে দুই চেয়ারম্যানের লোকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় ঘন্টা খানেক সময় ধরে চলে এই সংঘর্ষ। এসময় কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। প্রায় ঘন্টা খানেক সময় চলা দু’পক্ষের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় মজু মিয়া। এতে দু’পক্ষের আরো অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তাড়াইল : কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে জলমহালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. শফিকুল ইসলাম (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। সোমবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের ডুবাইল বিলের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। নিহত মো. শফিকুল ইসলাম দিগদাইড় গ্রামের মো. মতি মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, তাড়াইলের দিগদাইড় ইউনিয়নের ডুবাইল বিল জলমহালের আধিপত্য নিয়ে দিগদাইড় পশ্চিমপাড়ার গ্রামের সাদেক ভেন্ডারের লোকজনের সাথে প্রবাসী মতি মিয়ার গ্রুপের লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে সোমবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় দুইপক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ছোঁড়া বল্লমের আঘাতে সাদেক ভেন্ডারের পক্ষের মো. শফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।