পুলিশের এসআই পরিচয়ে মোবাইল ফোনে কথা। কিছুদিন পর প্রেম। তারপর ফরিদপুর আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে। কিন্তু মেয়ের বাড়ির লোকজন বিয়ে মেনে নেননি। কিন্তু জামাই পুলিশের এসআই শোনার পর তারা মেনে নেন।
এরপর ২ মাস ধরে শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াত। এসআই থেকে প্রমোশন হবে, এ কথা বলে শ্বশুরের কাছ থেকে দুই লাখ টাকাও নেন তিনি। কিন্তু তখনই বাধে বিপত্তি। পুলিশের পরিচয়পত্র দেখতে চান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এতে নানা কৌশলের আশ্রয় নেন জামাই। দুইদিন আগে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মনে সন্দেহ হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবাররাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্বশুরবাড়িতে আসেন জামাই। এরপর তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তিনি যে ভুয়া এসআই, তা স্বীকার করেন। জানান, তিনি আসলে একজন পান বিক্রতা। তারপরে শুরু হয় গণধোলাই। ঘটনা রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের জিয়েলগাড়ীপাড়া গ্রামের।
ওই প্রতারকের নামের উৎপল মণ্ডল (৪০)। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার মকছেদপুর থানার দিস্তাই গ্রামের নিরাপদ মণ্ডলের ছেলে।
প্রতারণার শিকার মেয়েটি ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী। তার বাড়ি বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর গ্রামে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন উৎপল মণ্ডল সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘কয়েকমাস আগে আমাদের ফোনে পরিচয় হয়। ও অনার্সে পড়ে এ জন্য আমি এসআই পরিচয় দিয়েছিলাম। আমি বলতাম কিশোরগঞ্জে এসপি অফিসে চাকরি করি। তারপর আমাদের প্রেম হয়। দুই মাস আগে ফরিদপুর কোর্টে আমরা বিয়ে করি। মূলত আমি পানের ব্যবসা করি। আজকে শ্বশুরবাড়ি এলাকার লোকজন জানতে পারে আমি পানের ব্যবসা করি। এটি জানার পর সবাই মিলে আমাকে মারধর করে।’