রাজধানীর ওয়ারীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় রাস্তার উল্টো দিক থেকে আসা মোটরসাইকেল আটকে কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় এক ট্রাফিক সার্জেন্টকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পরে তাকে উদ্ধারে আসা আরও দুই পুলিশ সদস্যকেও মারধর করা হয়।
আহত সার্জেন্ট আলী হোসেনের হাতে ২১টি সেলাই দিতে হয়েছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আহত অন্য দুই পুলিশ সদস্য হলেন ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম ও শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক উৎপল চন্দ্র।
মঙ্গলবার (৭ জুন) সকাল পৌনে ১০টার দিকে জুরাইন রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে শ্যামপুর থানা পুলিশ গিয়ে ওই তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখায়রুল আলম জানান, মঙ্গলবার সকাল পৌনে দশটার দিকে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় উল্টো পথে আসছিল একটি মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেলে এক নারীসহ দুজন আরোহী ছিলেন। কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেন কাগজপত্র দেখতে চাইলে মোটরসাইকেল চালক দুর্ব্যবহার শুরু করেন এবং পোশাক পরা অবস্থায় অন ডিউটিতে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্টের পরিচয়পত্র দেখতে চান। পরে দুজনকে পুলিশ বক্সে নেওয়া হলে সঙ্গে থাকা নারী উত্তেজিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন।
তখন আশপাশে থাকা লোকজন নারী লাঞ্ছনার অভিযোগ তুলে সার্জেন্টকে মারধর করে এবং পুলিশ বক্স গুঁড়িয়ে দেয়। অভিযুক্ত মোটরসাইকেল চালক সার্জেন্টের বুকের উপর পা তুলে চেপে বসে। এ সময় ঘটনাস্থলে আসা উৎসুক জনতার মধ্য থেকে একজন সার্জেন্টের হাতে ছুরিকাঘাত করে।
সার্জেন্টকে উদ্ধারে আসা পুলিশ সদস্যদের মারধর ও ধাওয়া করা হয়। পরে শ্যামপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে অতিরিক্ত ফোর্স পাঠিয়ে আহত তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে।
আহত তিন পুলিশ সদস্যের মধ্যে সার্জেন্ট আলী হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার হাতে ২১টি সেলাই দিতে হয়েছে।
এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক এবং ওই নারী যাত্রীসহ তিনজনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন, মোটরসাইকেল চালক বার্তা বিচিত্রা নামক পত্রিকার সাংবাদিক মো. রনি, তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশাত ও শ্যালক ইয়াসির আরাফাত। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।