আরিফুল ইসলাম সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার ধামরাইয়ে উল্টোপথে আসা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাইক্রোবাসকে বাধা দেওয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র এক কর্মীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় নিসচার উপজেলা কমিটির সভাপতি এম নাহিদ মিয়া বাদী হয়ে আজ সোমবার (১৩ জুন) দুপুরে ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এর আগে সকাল ৮টার দিকে ধামরাই পৌরসভার ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ডের ঢাকাগামী লেনের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নিসচা কর্মী মো: ইসরান হোসেন ধামরাইয়ের পৌর এলাকার লাকুড়িয়াপাড়া এলাকার মো: মজিবুর রহমানের ছেলে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষার্থী একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সকাল ৮টার দিকে ধামরাইয়ের ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানজট নিরসনে কাজ করার সময় প্রতীক সিরামিকের একটি সিলভার কালার মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ-৫৩-৩৪৬৮) উল্টোপথে আসছিলো।
এতে যানজট আরো চরমে উঠে যায়। এসময় ওই নিসচাকর্মী গাড়িটির পথরোধ করে সঠিক নিয়মে গাড়ি চালাতে অনুরোধ করে। এতে মাইক্রোবাস আরোহী ৫-৬জন ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে এলোপাথাড়ি তাঁর উপর চড়াও হয় এবং তাঁকে টানা হেচড়া করে জোর গাড়িতে উঠিয়ে ডাউটিয়া এলাকার প্রতীক সিরামিকস লিমিটেডের ভেতরে নিয়ে আটকে রেখে তার সংগঠনের আইডি কার্ড, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
তাঁর নিকট থেকে জোর করে কার্ড দিয়ে ১০ হাজার টাকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয় এবং ঘটনা কাউকে জানালে তাকে দেখে নেয়া হবে এমন হুমকিও দেয়। এ ঘটনার ভিডিও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সকলের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং সবাই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মো: ইমরান হোসেন বলেন, সকালের দিকে আমি অফিসে যাওয়ার পথে ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ডের আগের মুন্নু সিরামিক এলাকায় যানজটে পড়ি। পরে গাড়ি থেকে নেমে দেখি কয়েকটি গাড়ির বিশৃঙ্খলার জন্য ওরকম জ্যাম লেগেছে। আমি সড়কের ওপরের মাছের ড্রাম সরিয়ে দেই ও আড়াআড়ি থাকা ট্রাককে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেই। পরে ইসলামপুর ব্রিজের দিকেও সড়ক স্বাভাবিক করে দেখতে পাই এরমধ্যে প্রতীক সিরামিকেরসহ আরো কয়েকটা গাড়ি ওখানে উল্টোপথে এসেছে। পরে তাদেরকে আমি সরে যাওয়ার অনুরোধ করি। এসময় আরেক পাশে সেলফি পরিবহনের কয়েকজন যাত্রী নেমে সিরামিকের গাড়ির কাঁচে থাপ্পড় দিলে সেটির কাঁচ ভেঙ্গে যায়। পরে তারা জোর করে আমাকে তাদের গাড়িতে তুলে নেয় ও হুমকি ধমকি দেয়। পরে কালামপুর নিয়ে জোর করে ১০ হাজার টাকা তুলে রেখে আমাকে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে প্রতীক সিরামিকের ল্যান্ড ফোনে ফোন করলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফোন রিসিভকারী জানান অফিসে কোন কর্মকর্তা নেই। পরে তার কাছে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের উপায় চাইলে তিনি কারো নম্বর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে কিছুক্ষণের মধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তদন্ত করে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।