বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদা পারভীনের স্বামীকে মারধর ও লাঞ্ছিতর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ইউএনওর স্বামীর নাম আল আমিন শিকদার। তিনি পেশায় একজন সফটওয়্যার প্রকৌশলি।
আটকরা হলেন- শামিম হোসেন (৪০) ও তার ছেলে আলিফ হোসেন (১৯)। তারা সোনাতলা পৌর এলাকার বাসীন্দা৷ শামিমের বাবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সোনাতলা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বুলু।
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান জানান, বিকেলে শামিম ও তার ছেলে আলিফ উপজেলা পরিষদ চত্বরের ব্যাডমিন্টন কোর্টে খেলাধুলা করছিলেন। এ সময় ইউএনও সাইদা পারভীনের স্বামী সেখানে যান৷ ইউএনওর গাড়ি চালক শামিম ও আলিফকে সেখান থেকে চলে যেতে বললে তারা তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ইউএনওর স্বামী আল আমিন তাদের ঝগড়া করতে নিষেধ করলে তার ওপর হামলা চালনো হয়। শামিম ও তার ছেলে আল আমিনকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত শামিম ও আলিফকে উপজেলা চত্বর থেকেই আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তারা আমাদের হেফাজতে আছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সোনাতলার ইউএনও সাইদা পারভীন বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তার হার্টের সমস্যা আছে। সম্প্রতি তার বুকে অস্ত্রোপচার করে স্ক্র বসানো হয়েছে। আঘাতে তার স্ক্রু ডিসপ্লেস হয়ে গেছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। আমি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহাবুব আলম বুলু বলেন, সন্ধ্যার দিকে আমার ছেলে ও নাতি ইউএনওর বাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। এসময় ইউএনওর স্বামীর সঙ্গে আমার ছেলের ধাক্কা লাগে। এর জন্য পুলিশ আমার ছেলে ও নাতিকে ধরে নিয়ে গেছে। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।