English

26 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

অজ্ঞান করে লাখ টাকা ছিনতাই, ১৫ দিন পর ছিনতাইকারীকে ধরলেন নারী

- Advertisements -

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে অজ্ঞান পার্টির এক সদস্যকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন ঝর্ণা আক্তার নামে এক নারী।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কে রামগোপালপুর বাসস্ট্যান্ড এ ঘটনা ঘটে।

ঝর্ণা আক্তার উপজেলার রামগোপালপু পোম্বাইল গ্রামের মোস্তফা মিয়ার স্ত্রী। আটক রুবেল মিয়া একই উপজেলার মগটুল ইউনিয়নের বৈরাঢি গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে।

ঝর্ণা আক্তারের ভাষ্যমতে, ১৫ দিন আগে তার ছোট মেয়ের জামাতা গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে তাকে ত্রিশাল আসার জন্য গাড়িতে তুলে দেন। ত্রিশালে গাড়ি থেকে নামার পর তিনি গাড়ি খুঁজছিলেন। এ সময় একজন অটোরিকশা চালক তাকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি কোথায় যাবেন। তিনি কানুরামপুর যাবেন বললে ৫০ টাকা ভাড়া ঠিক করে অটোরিকশায় ওঠেন।

এ সময় অটোরিকশায় রুবেল নামের এক যাত্রী ছিলেন। অটোরিকশায় উঠতেই চালক চালানো শুরু করেন। কিছুক্ষণ গিয়ে আরও দুজন যাত্রী তোলেন চালক।

কিছুক্ষণ যাওয়ার পর আরও দুজন যাত্রী তোলা হয়। এ সময় একজন যাত্রী বলে ওঠেন, ‘ড্রাইভার ভাই, থামেন। টাকার ব্যাগ পাওয়া গেছে’। ওই যাত্রী টাকার ব্যাগ তুলে জানান, ব্যাগে বিদেশি টাকা ও সোনার বার আছে। এ সময় রুবেল মিয়া গাড়ি থেকে নেমে বলেন, ‘আপনি তো বিদেশি টাকা ও সোনার বার পেয়েছেন। এগুলোর দাম দেড় লাখ টাকা দাম হবে’।

রুবেল মিয়া এসব দেখে বলেন, ‘আমার কাছে টাকা থাকলে এগুলো কিনে নিতাম’। পরে এগুলো ঝর্ণা আক্তারকে দেখিয়ে কিনে নেওয়ার জন্য বলেন। তবে, ঝর্ণা আক্তার টাকা নেই বলে বলে জানান। এ সময় ঝর্ণা আক্তারকে কৌশলে অজ্ঞান করে এক লাখ টাকা নিয়ে যান রুবেল মিয়া ও তার কয়েকজন সহকারী।

ঝর্ণা আক্তার বলেন, ‘ঘটনার ১৫ দিন পর রামগোপালপুর বাসস্ট্যান্ডে এসে রুবেল মিয়াকে দেখেই আমি চিনে ফেলি এবং তাকে ধরে চিৎকার করি। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে আটক করে।’

এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইনছান বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ওই ছিনতাইকারীকে ধরে থানায় আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন