নিউজিল্যান্ড সফরে জাতীয় দলের কোয়ারেন্টিন জটিলতার প্রভাব পড়ার শঙ্কা ছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। বিকল্প অনেক ভাবনা-চিন্তাও ঘুরপাক খাচ্ছিল প্রশাসকদের মনে। ছয় দলের আসর পাঁচ দলের করা কিংবা ভেন্যু কমিয়ে দুই মাঠে খেলা আয়োজনের প্রস্তুতিও ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। তবে নিউজিল্যান্ডে সব ক্রিকেটার করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়ে খোলা আকাশের নিচে অনুশীলন শুরু করতেই ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসরের আকাশ থেকে উবে গেছে আশঙ্কার সব মেঘ। এখন ২১ জানুয়ারি থেকে আসরটি শুরু হওয়া নিয়েও নেই আর কোনো সংশয়। সেই সঙ্গে কমছে না দলও, খেলাও হবে তিন ভেন্যুতেই।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকের কণ্ঠেও শোনা গেল চিন্তামুক্ত হওয়ার স্বস্তি, ‘বিপিএল নিয়ে এবার কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে নিউজিল্যান্ডে জাতীয় দল খেলতে পারবে কি না, এসবও বিবেচনায় রাখতে হচ্ছিল। আমাদের নিতে হচ্ছিল সব ধরনের প্রস্তুতিই। তবে এখন ছয়টি দল প্রায় চূড়ান্ত।’ এখানে ‘প্রায়’ শব্দটি ব্যবহার করার কারণ, ‘এই দলগুলোকে আমরা কিছু শর্ত দিয়েছি। যেমন—পার্টিসিপেশন মানি জমা দেওয়া। আজ-কালের মধ্যে যারা দিয়ে দেবে, তাদের আমরা নিয়ে নেব। না হলে আমাদের আরো দুই-তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলা আছে, যারা ফ্র্যাঞ্চাইজি হতে আগ্রহী।’
আসন্ন বিপিএলের ছয়টি দল ঢাকা, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার। প্লেয়ার্স ড্রাফট হবে ২৭ ডিসেম্বর। ভেন্যুও অপরিবর্তিত থাকছে জানিয়ে মল্লিক বলেছেন, ‘আমরা তিনটি ভেন্যুই রাখছি—ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম। নিউজিল্যান্ড থেকে ১৪ বা ১৫ জানুয়ারি জাতীয় দলের আসার কথা। খেলোয়াড়দের চার-পাঁচ দিন বিশ্রাম দিয়ে ২১ জানুয়ারি থেকে টুর্নামেন্ট শুরু করবো। ফাইনাল হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি।’ গভর্নিং কাউন্সিল ঠিক করে ফেলেছে আসরের প্রাইজ মানিও। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে এক কোটি টাকা আর রানার্স আপ ৫০ লাখ।
ড্রাফটের বাইরে থেকে তিনজন বিদেশি ও একজন স্থানীয় খেলোয়াড় নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্য। সেসব ক্রিকেটারের পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রেও ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। তবে ড্রাফট থেকে খেলোয়াড় নিতে গেলে আছে। স্থানীয় খেলোয়াড়দের জন্য বিভিন্ন শ্রেণিতে ৭০, ৩৫, ২৫, ১৮ ও ১২ লাখ দর ধরা হয়েছে। আর বিদেশিদের জন্য ৭৫, ৫০, ৩০, ২৫ ও ২০ হাজার ইউএস ডলার।