ভারতের প্রথম ইনিংসের ১৮০ রানের বিপরীতে ১ উইকেটে ৮৬ রানে দিন শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। ৯৪ রানের পিছিয়ে থাকার সমীকরণটা মেলাতে আগামীকাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন দুই অপরাজিত ব্যাটার মারনাস লাবুশানে (২০) ও নাথান ম্যাকসুয়েনি (৩৮)।
ভারতকে একমাত্র সাফল্যটি এনে দিয়েছেন ‘বার্থ ডে বয়’ জাসপ্রিত বুমরাহ। উসমান খাজার (১৩) উইকেটটি এ বছর টেস্টে ৫০তম উইকেট বুমরাহর।জন্মদিনে শুরু হওয়া টেস্ট রাঙাতে চাইলে সামনের দিনগুলোয় দারুণ কিছু করতে হবে তাকে। ঠিক যেমন পার্থ টেস্ট জেতাতে ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তিনি।
এর আগে টেস্ট জিতে রোহিতের ব্যাট নেওয়ার সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্ক। অ্যাডিলেডে এখন পর্যন্ত দিবারাত্রির ৭ ম্যাচ খেলে একটিতে না হারা অজিদের দারুণ সূচনা এনে দেন বাঁহাতি পেসার।তার বোলিং তোপে দিশেহারা হয়ে পড়েন কোহলি-লোকেশ রাহুলরা।
শুরুটাও করেন ইনিংসের প্রথম বলেই। প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান যশস্বী জয়সোয়ালকে মুদ্রার উল্টো পিঠের সঙ্গেও পরিচয় করে দেন স্টার্ক। প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ করে বাঁহাতি ওপেনারকে ‘গোল্ডেন ডাকের’ তিক্ত স্বাদ দেন ৩৪ বছর বয়সী পেসার। সঙ্গে একটা রেকর্ডও গড়েন তিনি।টেস্টে প্রথম বলে উইকেট নেওয়ার এটা তৃতীয় কীর্তি। তার মতো সমান তিনবার নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি পেসার পেদ্রো কলিন্সও।
স্টার্কের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ৮৭ রান তুলতেই ৫ ব্যাটার হারায় ভারত। এমন সমীকরণে পড়ার আগে অবশ্য দ্বিতীয় উইকেটে ৬৯ রানের জুটি গড়ে প্রথম বলের ধাক্কা সামলিয়েছিলেন রাহুল-শুবমান গিল। তবে ব্যক্তিগত ৩৭ রানে রাহুল আউট হওয়ার পরেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। রাহুলকেও আউট করেন স্টার্ক। পরে তার সঙ্গে মাঝে উইকেট উদযাপনে মাতেন স্কট বোল্যান্ড ও প্যাট কামিন্স। দুজনে ২টি করে উইকেট নেন। আর বাকি ৬টিই যায় স্টার্কের পকেটে।
৪৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংও করেছেন স্টার্ক। তার আগের সেরা ছিল ৫০ রানে ৬ উইকেট। ২০১৬ সালে গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ভারত ১৮০ রানের সংগ্রহ পেয়েছে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা নিতিশ কুমার রেড্ডির কল্যাণে। ৪২ রানের ইনিংস না খেলতে হয়তো দেড়শ রানও করতে পারত না ভারত।