জহিরুল ইসলাম মিশু,সিলেট ব্যুরো: সিলেটকে বলা হয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রাজধানী। সিলেট যেমন প্রকৃতিতে ঘেরা সৌন্দর্য বেষ্টিত,ঠিক তেমনি সিলেটের রয়েছে অত্যন্ত নান্দনিক একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।পাহাড়ে ঘেরা সবুজের সমারোহে চা বাগানের পাশে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে নিঃশ্বাস নেওয়ার স্বাদই আলাদা। যখনই যে খেলা সিলেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় তখনই ক্রীড়া প্রেমীদের ঢল নামে পুরো স্টেডিয়াম এলাকা জুড়ে। সম্প্রতি বিপিএল শুরু হওয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে সম্পন্ন হয় সংস্কার কাজ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা মানেই ক্রিড়াপ্রেমিদের উৎসব। আনন্দ উৎসবে বিক্রি হয় সকল ক্যাটাগরির টিকেট। যতক্ষণ খেলা ততক্ষণ গ্যালারি ভরা থাকে দর্শকদের হই হুল্লোড় উল্লাস। চার কিংবা ছক্কা হলেই দর্শকদের উৎসব আমেজে ভরপুর হয়ে উঠে পুরো স্টেডিয়াম এলাকা।এবারের বিপিএল ক্রিকেটের সিলেট পর্বের শুরুর আগে বিসিবির পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে শুরু হয় স্টেডিয়ামের সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধন এর কাজ সম্পন্ন হওযার পর বিপিএল শুরু হওয়ার পর স্টেডিয়াম ঘিরে শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ।
বিয়ানীবাজার থেকে খেলা দেখতে আসা রিয়াজ বলেন, আমরা সিলটিরা খেলা ফাগল। যদিও আমরার স্টেডিয়াম খেলা খম ওয়। তবে খেলা যে সময় ওম আমরা সিলেটী হখলে স্টিডামও আইয়া ভরিযাই। এমনও ওয় টিকেটে ক্রাইসেস দেখা দেয়।
খেলার সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা সাংবাদিক ফাহিম আহমদ জানান, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট স্টেডিয়ামে বেশিরভাগ খেলার সংবাদ সংগ্রহ করেছি। তবে যখনই সিলেট আসি তখনই ভালো লাগে। দর্শক ভর্তি গ্যালারি আমাদের আরো আনন্দিত করে।
সিলেট স্টেডিয়ামে আসন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সৌন্দর্য কোনো দিক দিয়ে কমতি নেই। আউটার স্টেডিয়ামেও অত্যন্ত চমৎকার। তবে স্টেডিয়ামে একটি ব্যতিক্রমী আসন ব্যবস্থা রযেছে গ্রীন গ্যালারি নামে। গ্রীন গ্যালারি ঘাসগুলোর যত্ন নেওয়া এবং গ্রীন গ্যালারি স্বরূপে ফুটিয়ে তোলার দাবি ক্রীড়াপ্রেমী দর্শকদের।
এদিকে সংস্কার কাজের পর প্রেসবক্সে লেগেছে নতুনত্বের ছোঁয়া।নতুন চেয়ার থেকে শুরু করে বসানো হয়েছে নতুন ডেস্ক ও আসবাবপত্র।সেই সাথে সংবাদিকদের খাবার ম্যানুতে এসেছে নতুন ম্যানু।স্ব্যান্ধকালীন খাবারে এই প্রথমবার যুক্ত হয়েছে বিশ্ববিখ্যাত ফাস্টফুড কেএফসির স্নেকবক্স।
মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশনের সহকারী মিডিয়া ম্যানেজার আকবর হুসাইন ভুঁইয়া বলেন, এই সংস্কার কাজ ধারাবাহিক কাজের অংশ।
আমরা আমাদের জায়গা থেকে কোনো কিছুর কমতি রাখিনি। একদম নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সব কিছু অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে প্রাধান্য দিয়ে খেলা পরিচালিত হচ্ছে। বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে কাজ করানো হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার মিডিয়া বক্সেও একদম আন্তর্জাতিক মিডিয়া বক্সের সাথে সামঞ্জস্য রেখে খাবারের ম্যানু থেকে শুরু করে সবই অত্যন্ত মানসম্মত ভাবে করা হয়েছে।ভবিষ্যতে ও আরো উন্নয়ন কাজ অব্যাহত থাকবে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়ার দায়িত্বে থকোর্ডিনেটর দেওয়ান তায়েফ হোসেন বলেন- দেশসেরা টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন মাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের আপ্যায়নের কথা চিন্তা করে বিসিবিকে উন্নতমানের নাস্তা বরাদ্দের অনুরোধ করা হয়। তাদের অনুরোধকে মূল্যায়ন করায় কর্তৃপক্ষে তিনি ধন্যবাদ জানান।