নাসিম রুমি: ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে জড়িয়ে মুদ্রার ওপিঠ দেখছেন সাকিব আল হাসান। ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানে গত আগস্টে পতন হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের। সাকিবের সংসদ সদস্যপদ গেছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। সাকিব দেশেও ফিরতে পারছেন না। পাকিস্তান সফর শেষে চলে গেছেন ইংলিশ কাউন্টি খেলতে। বিশ্বের সেরা এই অল-রাউন্ডারকে হয়রানি না করার আহবান জানালেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
গণঅভ্যুত্থানের অনেক আগে থেকেই আন্দোলনের পুরোটা সময় সাকিব ছিলেন দেশের বাইরে। তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলছিলেন। অথচ, তার বিরুদ্ধে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকে সাবেক অধিনায়ক তথা বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, ‘সাকিব যদি কোনো অন্যায় করে থাকেন, সেটার বিচার হোক। কিন্তু যদি সে অন্যায় না করে, তার ওপর যদি অন্যায় দোষ চাপিয়ে দেন….। ও তো এর মধ্যে ক্রিকেটই খেলেছে। এর মধ্যে তো সময়ই পায়নি রাজনীতিতে ঢোকার।’
পাকিস্তান সফরে বল হাতে মোটামুটি সফল ছিলেন সাকিব। শেষ টেস্টের শেষ ইনিংসে ব্যাট হাতে দলকে ঐতিহাসিক জয় এনে দিয়েছেন। তাই জাতীয় দলে সাকিবের গুরুত্ব নিয়ে সুজন বলেন, ‘ক্রিকেটার হিসেবে আমরা তো জানি সে বিশ্বসেরা। যতদিন সে ফিট থাকবে, আমরা তাকে ঠিকমতো খেলতে দেই। এতে বাংলাদেশের জন্যই ভালো হবে। ও খেললে দলকে ভালো সাপোর্ট দেয়। ও থাকলে দলের ভারসাম্য ভালো হয়। সাকিব এমন একজন অল-রাউন্ডার, যে ব্যাটিংয়েও পারদর্শী, বোলিংয়েও পারদর্শী।’
তবে খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন, ক্রিকেটাররা যেন খেলোয়াড়ী জীবনে সরাসরি রাজনীতিতে যোগ না দেয়। তার ভাষায়, ‘মাত্র কয়েক মাস আগেই তো সে এমপি হয়েছিল। রাজনীতি আর খেলাধুলাকে এক করা ঠিক না। আবার খেলোয়াড়দেরও উচিত না, খেলা অবস্থায় রাজনীতি করা। সে সবসময়ই খুব কঠিন মানসিকতার। আমি জানি না, গত কয়েকদিনে যা হয়েছে তাতে তার সেই লিমিট ক্রস করে গেছে কিনা। আশা করি, সব ঠিক হয়ে যাবে।’