নাসিম রুমি: আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ তিন ম্যাচে বাংলাদেশ দলের হয়ে মুস্তাফিজ খেলেছেন কেবল একটি ম্যাচ। প্রথম দুই ম্যাচে মুস্তাফিজকে একাদশে দেখা না গেলেও শেষ ম্যাচে খেলতে নেমেই আবারও প্রমাণ করলেন ফুরিয়ে যাননি তিনি। চাপের মুখে টাইগার এই পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়েই জয়ের পথ সুগম হয় টিম টাইগার্সের। এরপর আইরিশদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ।
আইরিশদের হয়ে দলকে জয়ের সুভাস দিচ্ছিলেন হ্যারি টেক্টর এবং টাকার জুটি। তবে সেই জুটি ভেঙে দেন টাইগারদের পার্ট টাইম স্পিনার নাজমুল হোসেন শান্ত। টেক্টর ফিরতে না ফিরতে আইরিশ শিবিরে জোড়া আঘাত দেন মুস্তাফিজ। মূলত হারতে বসা ম্যাচটিতে বাংলাদেশকে আশা দেখান ফিজ।
চেমসফোর্ডে শেষ ওয়ানডেতে ৪৪ রান খরচায় মুস্তাফিজ তুলে নেন ৪ উইকেট। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন কাটার মাস্টার। চাপের মুখে এমন অসাধারণ বোলিংয়ের রহস্য জানতে চাইলে মুস্তাফিজ উত্তরে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ দলের হয়ে এই দায়িত্বটা দীর্ঘদিন ধরে পালন করছি। আমি এতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি।’
প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে না থাকার পর তৃতীয় ম্যাচে একাদশে ফিরেই ৫ উইকেট নিতে চেয়েছিলেন মুস্তাফিজ। এমনকি জানালেন ম্যাচ সেরার টাকা দিয়ে করবেন কেনাকাটা, ‘আমি তো আগের দিনই ভেবেছিলাম ৫ উইকেট নেব (হাসি)।’ হেসে হেসে জানিয়েছেন, ম্যাচসেরার পুরস্কারের টাকা দিয়ে তিনি কেনাকাটা করবেন।’
এদিকে চেমসফোর্ডে বাংলাদেশ দলকে সমর্থন দিতে আসা প্রবাসী বাংলাদেশি দর্শকদের ধন্যবাদও দিয়েছেন মুস্তাফিজ, ‘দর্শকের কারণে মনে হচ্ছে ঘরের মাঠে খেলছি। সবাইকে ধন্যবাদ মাঠে এসে আমাদের সমর্থন দেওয়ার জন্য।