নাসিম রুমি: টানা ১৮ ওয়ানডে হারের পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। যেখানে বড় অবদান পেসারদের। নিউজিল্যান্ডের ১০ উইকেটের সবগুলোই গেছে চার পেসারের ঝুলিতে। শরিফুল ইসলাম-তানজিম সাকিবদের এমন পারফরম্যান্সের পর তাদের প্রশংসা ঝড়েছে প্রতিপক্ষের অধিনায়কের কণ্ঠেও।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। টাইগার পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি কিউইরা। শুরুর দুই উইকেটই নিয়েছেন তানজিম সাকিব।
১৭তম ওভারে সাকিবের সঙ্গে উইকেট পার্টিতে যোগ দেন শরিফুল ইসলাম। টম লাথামকে ২১ রানে ফিরিয়ে দিনের প্রথম শিকার ধরেন এই বাঁহাতি পেসার। নিজের পরের ওভারে বোলিংয়ে ফিরে আবারও উইকেটের দেখা পেয়েছেন তিনি। ১৯ তম ওভারে ২৫ রান করা উইল ইয়ংকে সাজঘরে ফেরান। এর এক ওভার পর ফিরে নিজের টানা তিন ওভারেই উইকেট তুলে নেন শরিফুল। এবার ২ রান করা মার্ক চ্যাপম্যানকে ফিরিয়ে কিউই টপ অর্ডার ভেঙে দেন শরিফুল।
অপর প্রান্তে সাকিবও আগ্রাসী ছিলেন। ২৩তম ওভারে ফিরে টম ব্লান্ডেলকে ফিরিয়েছেন তিনি। ৪ রানে ব্লাডেন ফিরলে ২৩ ওভার শেষে মাত্র ৭০ রান তুলতেই ছয় উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। শরিফুল-সাকিবের মতোই এদিন কার্যকরী ছিলেন সৌম্য সরকার। নিউজিল্যান্ডের ৬ উইকেট পরার পর বোলিংয়ে এসে ৩ উইকেট তুলে নেন সৌম্য। আর কিউইদের কফিনে শেষ পেরেকটা মারেন মুস্তাফিজুর রহমান। তাতে একশ’র আগেই অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশি পেসারদের নিয়ে টম লাথাম বলেন, ‘অবশ্যই আমরা প্রত্যাশার চেয়েও বাজে খেলেছি…বাংলাদেশ (বোলাররা) মুভমেন্ট পেয়েছে এবং ভালো জায়গায় বল করেছে। তাদের প্রশংসা করতেই হবে।’