নাসিমরুমি: বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসরের আগে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন মুশফিকুর রহিম। তবে মুশফিকের অবসরের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়নি বিসিবি।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) মুশফিকুর রহিমের অবসরের খবরে দেশের ক্রিকেট সরগরম। নিউজিল্যান্ডের আসন্ন ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ও বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসরের আগে এই ফরম্যাট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন মুশফিক। রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন ও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে ই-মেইলের মাধ্যমে নিজের অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন এই ক্রিকেটার। তবে টি-টোয়েন্টি থেকে মুশফিকের অবসরের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়নি বিসিবি।
মুশফিকের অবসর প্রসঙ্গে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস জানান, “আজকে সাড়ে ১২টার দিকে আমরা একটা মেইল পেয়েছি। মাননীয় বোর্ড প্রেসিডেন্টকে দিয়েছে, আমাকে কপি দিয়েছে,
সিইও ও প্রধান নির্বাচককে দিয়েছে এবং সে (মুশফিক) জানিয়েছে, টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে যেতে চায়। টেস্ট এবং ওয়ানডে খেলার জন্য নিজেকে উন্মুক্ত রেখেছে। সে কারণ দেখিয়েছে, এই দুই ফরম্যাটে সে ফোকাস করতে চায়। এই কারণে টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়াতে চায় সে।”
সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সাথে আলোচনার পরই মুশফিকের অবসরের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি। জালাল ইউনুস বলছিলেন, “আমি মাননীয় বোর্ড প্রেসিডেন্টের সাথে কথা বলেছি। যেহেতু সে মাত্র দুই ঘণ্টা আগে (ই-মেইল) দিয়েছে আমাকে, সেই জন্য আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি (আবেদন) গ্রহন করেছি কি করিনি, আমাদের মধ্যে আলাপ করতে হবে।
বোর্ড প্রেসিডেন্টের সাথে আলাপ করে আমরা সিদ্ধান্তে যাব। যেহেতু সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি, তাই এই মুহুর্তে বলতে পারছি না। তবে মুশফিক যদি বিশ্বকাপে না থাকে, তাহলে তাঁকে অবশ্যই মিস করব।”
উল্লেখ্য, ক্রিকেটের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ক্রিকেটারদের অবসর গ্রহনের পূর্ণ স্বাধীনতা আছে। এই ধরনের ইস্যুতে মূলত দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।