নাসিম রুমি: নারী ফুটবলে পাকিস্তানের কাছে কখনো হারেনি বাংলাদেশ। আগের দুই সাক্ষাতের দুটিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সাবিনারা। তবে এবার গল্পটা ভিন্ন হতে যাচ্ছিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম জয়টা প্রায় পেয়েই গিয়েছিল পাকিস্তানের মেয়েরা।
ম্যাচের একদম শেষ সময়ে গোল করে দলকে হারের লজ্জা থেকে রক্ষা করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র।
রবিবার (২০ অক্টোবর) সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ। এই ড্রয়ে সেমিফাইনালে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলার নারীরা।
এই ম্যাচেই কপালে চোট পান শামসুন্নাহার।
যে কারণে ম্যাচ শেষে তাকে হাসপাতালে যেতে হয়। ম্যাচের ১০ মিনিটে ঋতুপর্ণা চাকমার ক্রসে পাকিস্তানের গোলমুখে হেড করতে লাফিয়ে ওঠেন শামসুন্নাহার। পাকিস্তান গোলকিপার নিশা আশরাফ ও অধিনায়ক মারিয়া খান বল ক্লিয়ারের চেষ্টা করেন। এতেই চোট পান শামসুন্নাহার ও মারিয়া।
খেলা বন্ধ থাকে কয়েক মিনিট। পরে মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়েই শামসুন্নাহার লড়াই চালিয়ে যান। ম্যাচ শেষে দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়াম থেকে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সূত্রের খবর, তার চোট গুরুতর নয়। ময়মনসিংহের কলসিন্দুরের মেয়ে শামসুন্নাহারের কপালের কেটে যাওয়া স্থানে ক্ষতটা গভীর নয়।
কোনো সেলাই লাগেনি।
তবে শামসুন্নাহারের সঙ্গে বল দখলের সংঘর্ষে কপালে আঘাত পাওয়া পাকিস্তানের অধিনায়ক মারিয়া খানের তিনটি সেলাই লেগেছে। ম্যাচ শেষে স্টেডিয়াম থেকে দুজনকেই নেওয়া হয় স্থানীয় স্টার হাসপাতালে।
শামসুন্নাহারকে চিকিৎসক একটা ইনজেকশন দিয়েছেন, তবে কোনো অ্যান্টিবায়োটিক দেননি। মাথায় অবশ্য ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়েছে তার। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) হয়তো সেই ব্যান্ডেজ খুলে ফেলা যাবে।
আগামী ২৩ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচটি খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে শামসুন্নাহারকে পাওয়ার আশা কোচ পিটার বাটলারের। ড্র করলেই বাংলাদেশের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হবে।