বিশ্বব্যাপী চলমান কোভিড-১৯ মহামারীতে একের পর এক তারকাদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই মহামারীর শুরুর দিকে গত এপ্রিলে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইংলিশ লেগ স্পিনার সারা গ্লেন। ইংল্যান্ড নারী দলের সেরা খেলোয়াড় দাবি করেছেন, করোনা আক্রান্ত এক লোক মাতাল হয়ে ইচ্ছে করেই তার শরীরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। লকডাউনের সময় ডার্বিশায়ারে বাবা-মার সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে ছিলেন তিনি। কিন্তু একদিন এক খাবারের দোকানে গিয়েই নাকি সর্বনাশটা হয়।
দ্য টেলিগ্রাফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২১ বছর বয়সী এই তারকা ক্রিকেটার বলেছেন, ‘একদিন জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যেতে হলো। খাবার কিনতে আমি এক দোকানে গেলাম। সেখানে আমার পাশে দাঁড়ানো এক লোক হাসতে হাসতে হঠাৎ আমার গায়ে এসে পড়ল। সে সম্ভবত মাতাল ছিল। আমি ও ক্যাশ কাউন্টারের মহিলা ভয় পেয়ে যাই। প্রচণ্ডরকম অস্বস্তি লাগছিল। লকডাউনের সময় ওই একদিনই কেনাকাটা করতে গেলাম, আর কী বাজে অভিজ্ঞতা হলো! ওই লোক আবারও আমাকে ধাক্কা দিলেন। এরপর আমি বের হয়ে গেলাম। রাগে গজগজ করতে করতে বাড়ি ফিরেছিলাম।’
ইংল্যান্ড নারী দলের হয়ে ৩টি ওয়ানডে ও ১৫টি টি-টোয়েন্টি খেলা সারা আরও বলেছেন, ‘বাসায় ফিরে আমি বাবা-মাকে বললাম, আগামী সপ্তাহে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাগের মাথায় কী করি বলতে পারছি না। ঠিকই পরের সপ্তাহে বিছানায় পড়লাম। খুব সুখকর ছিল না ওই অভিজ্ঞতা। ওই অভিজ্ঞতা আমার চোখ খুলে দেয়। যেসব তরুণ বলে “আমাদের কিছুই হবে না”, তাদের ওপর আমার প্রচণ্ড রাগ হয়। আমিও তো পুরো ফিট এক অ্যাথলেট, কিন্তু আমাকেও তো ভুগতে হলো! আমি ঠিক জানি না এটা কারও ফুসফুসের কতটা ক্ষতি করে, তবে আমার সেরে উঠতে অনেক সময় লেগেছে।’
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন