ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটের সুবাদে বিশ্বের প্রায় সব দেশের ক্রিকেটাররা নিজেদের মধ্যকার সম্পর্ক আরও শক্ত ও বন্ধুত্বপূর্ণ করতে পারছে। এছাড়া কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের সান্নিধ্যে থাকার সুযোগ পান তরুণ উদীয়মান ক্রিকেটাররা, শিখতে পারেন অনেক কিছু।
তেমনইভাবে ২০১১ সালের আইপিএলে রাহুল দ্রাবিড় ও শেন ওয়ার্নের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে একই দলে খেলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও তারকা ব্যাটার রস টেলর। সেই আসরেই টেলর বুঝতে পেরেছিলেন, ভারতীয়দের কাছে রাহুল দ্রাবিড়ের অবস্থান কোথায়।
একদিন দ্রাবিড়ের সঙ্গে সাফারি পার্কে বাঘ দেখতে গিয়েছিলেন টেলর। সেদিন পার্কে উপস্থিত মানুষরা নিজেদের চোখের সামনে জলজ্যান্ত বাঘকে ভ্রুক্ষেপ না করে উল্টো দ্রাবিড়ের ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিলেন। নিজের আত্মজীবন ‘রস টেলর: ব্ল্যান্ড এন্ড হোয়াইট’ বইয়ে এই ঘটনা লিখেছেন টেলর।
সেই অংশটুকু নিচে তুলে ধরা হলো-
(সাফারি পার্কে) আমি দ্রাবিড়কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি কতবার বাঘ দেখেছো?’ সে উত্তর দিলো, ‘আমি ২১ বার এমন ভ্রমণে গিয়েছি কিন্তু একবারও বাঘ দেখতে পারিনি।’ আমি ভাবছিলাম, ২১ বারেও দেখতে পারেনি! এটি জানলে তো আমি যেতামই না, বলে দিতাম, ডিস্কভারি চ্যানেলে দেখে নিবো। জ্যাকব ওরাম টিভিতে বেসবল দেখার জন্য আমাদের সঙ্গে যায়নি।
দুপুরের পরপর আমাদের চালক একটি ফোন পেলো যে তারা একটি বহুল পরিচিত টি-১৭ বাঘের দেখা পেয়েছে। এটি শুনে দ্রাবিড় উত্তেজিত হয়ে পড়ে। কারণে আগের ২১ বারে সে দেখা পায়নি আর এবার কি না আধঘণ্টার মধ্যেই দেখতে পাবে। তাই সে রোমাঞ্চিত ছিল।
আমরাও অন্যান্য গাড়িগুলোর পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। ছাদখোলা এসইউভি গাড়িটি ল্যান্ড রোভারের চেয়ে বড় ছিল। বাঘটি বসা ছিল একটি পাথরের ওপর, প্রায় ১০০ মিটার দূরে। এমন খোলামেলা বাঘটি দেখে আমরা থ বনে যাই। কিন্তু অন্য গাড়িতে থাকা মানুষরা দ্রাবিড়ের দিকে ক্যামেরা তাক করতে থাকে।
তারা সবাই দ্রাবিড়কে দেখে রোমাঞ্চিত হয়ে পড়েছিল, যেমনটা আমরা হয়েছিলাম বাঘ দেখে। হয়তো এর চেয়েও বেশি। পৃথিবীজুড়ে হয়তো ৪ হাজারের মতো বাঘ রয়েছে, কিন্তু রাহুল দ্রাবিড় আছে একজনই।