নাসিমরুমি: বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জিতে বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগে অনুশীলনেও এর ছাপ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। আর টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে সাকিব আল হাসানের দলকে ছন্দ এনে দেয়ার পেছনে বড় অবদান তাসকিন আহমেদের।
পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে তার চেষ্টা ও ফর্ম প্রশংসার যোগ্য। তাছাড়া দ্বিতীয় ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব জানিয়েই দিলেন, বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিটের নেতা এখন তাসকিন। মাশরাফি বিন মর্তুজার অবসরের পর এই জায়গাটা তিনি দ্রুত পুরণ করে ফেলেছেন।
নেদারল্যান্ডস বিপক্ষে ইনিংসের প্রথম ২ বলে ২ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন তাসকিন। এরপর ডেথ ওভারে বোলিংয়ে এসে তুলে নেন আরও ২টি উইকেট। ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ফিগার সহ হন ম্যাচ সেরাও।
তাই প্রোটিয়া লড়াইয়ের আগে এই পেস বোলারের দিকেই চেয়ে থাকবে বাংলাদেশ। সাকিব বলেন, ‘আমরা দারুণ কিছু তরুণ পেস বোলার পেয়েছি। হাসান মাহমুদও তাদের মধ্যে একজন।’
‘আমি মনে করি মাশরাফি ভাই’র পর গত দুই থেকে তিন বছরের ভেতর তাসকিন আমাদের পেস বোলিং বিভাগের নেতা হয়েছে। সব মিলিয়ে আমি মনে করি, আমাদের দুর্দান্ত পেস বোলিং অ্যাটাক আছে।’
একটা সময় স্পিননির্ভর একাদশ সাজালেও এখন এই দৃশ্য বদলে যেতে শুরু করেছে। একাদশে পেসারের আধিক্য বাড়ার সঙ্গে তাসকিন-হাসানদের গুরুত্বও বুঝতে শিখেছে বাংলাদেশ।
সাকিব আরও বলেন, ‘আমরা এখন পেসারদের গুরুত্ব বুঝছি। এবং আমি মনে করি, আমাদের দুর্দান্ত পেস বোলিং ইউনিট আছে। প্রতিটি ফরম্যাটেই আমাদের পেসাররা দুর্দান্ত করছে।’