নাসিম রুমি: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আয়ের অন্যতম উৎস টিম স্পন্সর ও বিভিন্ন টুর্নামেন্টের স্পন্সর। যেখান থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করে বিসিবি। জাতীয় দলের অন্যতম বড় স্পন্সর ছিল দারাজ। ৩০ নভেম্বর দারাজের সঙ্গে অনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তার আগেই স্পনসরশীপ গুটিয়ে নিয়েছে দারাজ।
এ দিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে নতুন কোনো স্পন্সরও পায়নি বিসিবি। বিষয়টি কি শুধুই বিসিবির মার্কেটিং ডিপার্টেমেন্টের দায়? নাকি বিশ্বকাপে দলের খারাপ ফারফম্যান্স? তা নিয়ে হতে পারে নানা আলোচনা। তবে নিশ্চয়ই এমন পরিস্থিতে বিসিবির মার্কেটিং ডিপার্টেমেন্টের দুর্বলতা স্পষ্ট। আপাতত তাই মিরাজ-শান্তরা পৃষ্ঠপোষক ছাড়াই সাদা জার্সিতেই মাঠে খেলছেন।
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ দলের জার্সিতে দেখা গেছে শুধু বিসিবির লোগো। যে সংস্থাগুলো বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পনসর ছিল, বিশ্বকাপের ব্যর্থতায় তারা এখন সরে গিয়েছে। জাতীয় দলের পেছনে এখন আর টাকা খরচ করতে রাজি নয় ব্র্যান্ডগুলো।
এমন অবস্থায় নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে বিসিবিও। সিরিজ শুরু হওয়ার আগে এই ব্যাপারে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন বিসিবির এক কর্মকর্তা। নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে স্পন্সর ঠিক হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পর্ব শেষ হলে স্পনসর পাওয়ার ব্যাপারে নতুন কোনও সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন বোর্ড সভাপতি।
প্রসঙ্গত, ভারতে ১৩তম ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশের। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ব্যর্থ হয়েছে টাইগারদের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন। প্রথম পর্বে ৯ ম্যাচ খেলে দলটি জিতেছে মাত্র ২ ম্যাচ। তাতে বিশ্বকাপ থেকে সবার আগে বিদায় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।