নাসিম রুমি: দারুণ কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে ভারতে পা রাখলেও, বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়েছে হতাশাকে সঙ্গী করেই। শেষ দিকে প্রাপ্তি বলতে শুধু গ্রুপপর্বে তিন জয়। এছাড়া বাকি চার ম্যাচে পরাজয়ের তিক্ততার স্বাদ নিতে হয়েছে সাকিব-শান্তদের। যদিও হতাশাময় বিশ্বকাপ শেষের পর বড় অঙ্কের অর্থ আয় করেছে বাংলাদেশ।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাইজমানি আগের সব টুর্নামেন্টকে ছাপিয়ে গেছে। চলতি আসরে মোট প্রাইজমানি ১ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার ডলার। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই আইসিসি জানিয়েছিল, চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে চ্যাম্পিয়ন দল এবারই সবচেয়ে বেশি প্রাইজমানি পাবে। রানার্সআপ দল প্রাইজমানি হিসেবে পাবে ১২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দলগুলোর প্রত্যেকে পাবে ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ ডলার করে। সুপার এইট থেকে বাদ পড়া চার দলের প্রত্যেকে প্রাইজমানি হিসেবে পাবে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলার করে। আর প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য পাবে অতিরিক্ত ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার।
সেই হিসেবে সুপার এইটে জায়গা করে নেওয়ায় প্রাইজমানি হিসেবে পাচ্ছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি)। গ্রুপপর্বে তিনটি ম্যাচ জেতায় পাচ্ছে ৯৩ হাজার ৪৬২ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ৫ লাখ টাকার সমান)। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের আয় ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৬২ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকারও বেশি।
তবে বাংলাদেশ দল এই আয় করলেও প্লেয়ারদের আয় এখানেই শেষ নয়। প্লেয়াররা তাদের চুক্তি অনুযায়ী টাকা পাবেন, এরসঙ্গে ম্যাচ খেলার ফি, জেতার বোনাসও পাবেন তারা। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের শেষটা ভালো না হলেও বাংলাদেশ দল আর্থিক দিক থেকে হাসি মুখেই বাড়ি ফিরবে।