নাসিম রুমি: আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়েই পর্দা নামলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১০ম আসরের। টুর্নামেন্টের শুরুতে নিরুত্তাপ আভা ছড়ালেও শেষটা ছিল ব্যতিক্রম। কাণায় কাণায় পূর্ণ স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো শিরোপা উঁচিয়ে ধরলো ফরচুন বরিশাল। তামিম ইকবালের নেতৃত্বে উদিত হলো বিপিএলের নতুন এক অধ্যায়ের।
৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার প্রাইজমানির বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন দল বরিশাল পেয়েছে ২ কোটি টাকা। আর ফাইনালে উঠে প্রথমবারের মতো হারের স্বাদ নেয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পকেটে গেছে ১ কোটি।
বিদেশি ক্রিকেটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে এবারের আসরে আলো কেড়েছেন দেশি ক্রিকেটাররা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলা তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে এসছে ৪৯২ রান। ৩৫ এর উপর গড় ও ১২৭ এর উপর স্ট্রাইক রেটে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট নির্বাচিত হন বরিশাল অধিনায়ক। সেই সাথে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি। দুই পুরস্কারে তামিমের ঝুলিতে গেছে ১৫ লাখ টাকা।
চলতি বিপিএলে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি দুর্দান্ত ঢাকা। তবে ব্যতিক্রম ছিলে পেসার শরিফুল ইসলাম ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট তুলে নিয়ে এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক তিনি। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা। আর টুর্নামেন্ট সেরা ফিল্ডারের ৩ লাখ টাকা পুরস্কার পেয়েছেন দুর্দান্ত ঢাকার নাইম শেখ।
বিপিএলের ফাইনালে অল্পের জন্য অর্ধশতক ছুঁতে না পারলেও ৩০ বলে ৪৬ রানের কার্যকরি এক ইনিংস খেলেন কাইল মায়ার্স। এর আগে চার ওভার বোলিং করে ২৬ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। তাই নিশ্চিতভাবেই ফাইনালের ম্যাচসেরা পুরস্কারের ৫ লাখ টাকা যায় এই ক্যারিবীয়ানের হাতে।
বিপিএলের প্রাইজমানি:
প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল: কাইল মায়ার্স – ১ উইকেট ও ৪৬ রান (৫ লাখ টাকা),
বেস্ট ফিল্ডার অব দ্য টুর্নামেন্ট: নাঈম শেখ – ৮ ক্যাচ (৩ লাখ টাকা),
সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি: শরিফুল ইসলাম – ২২ উইকেট (৫ লাখ টাকা),
সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক: তামিম ইকবাল – ৪৯২ রান (৫ লাখ টাকা),
প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট: তামিম ইকবাল – ৪৯২ রান (১০ লাখ টাকা),
রানার্স-আপ টিম: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স (১ কোটি টাকা),
চ্যাম্পিয়ন টিম: ফরচুন বরিশাল (২ কোটি টাকা)।