ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশের প্রায় ৯টি জেলা। যাদের মধ্যে রয়েছে ফেনী, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর ও খাগড়াছড়ি। এসব জেলার লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এমন অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো এবং সহায়তায় এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার।
নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়ে এই আহ্বান জানান শরিফুল ইসলাম, তাওহীদ হৃদয়, রুবেল হোসেন এবং নুরুল হাসান সোহান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টের একাদশে আছেন শরিফুল। প্রথমদিন তিনি দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট নিয়েছেন। ফিরিয়েছেন শান মাসুদ ও বাবর আজমকে। এরপর রাতে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বন্যার্তদের জন্য সহায়তা চেয়ে কুরআনের একটি আয়াত শেয়ার করেন এই বাঁ-হাতি পেসার।
এই পরিস্থিতিতে নিজে সরাসরি না থাকলেও, সবাইকে পাশে দাঁড়ানো কথা জানিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। ফেসবুকে পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘কি লিখব? কি লেখা উচিৎ? নিজেকে অসহায় মনে হয় যখন সরাসরি দেশের কোনো দুর্যোগে পাশে থাকতে পারি না। বন্ধুদের পাঠিয়েছি, ওরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে, তবে আমার কষ্ট লাগছে যতটুকুই করা হবে তা কি যথেষ্ট?
‘তবুও করতে হবে, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু এখন না, পানি নেমে যাওয়ার পর পর্যন্ত বন্যার্তদের পাশে থাকতে হবে। নৌকা, ওষুধ, বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবার যে যেভাবে পারেন। ব্যাপার না। আমরা জন্ম থেকেই সংগ্রাম করতে জানি, এবারও করব। আল্লাহ এ যাত্রায়ও আমাদের রক্ষা করবেন ইনশা-আল্লাহ। দুর্যোগ ঘটে গেছে, এখন পুরো বাংলাদেশ মিলে তা মোকাবিলা করার সময়। বসে থাকার সুযোগ নেই, সবাই নিজের সাধ্যমতো এগিয়ে আসি।’
এ ছাড়া দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা পেসার রুবেল হোসেন এত পানির উৎস কোথায়– এমন প্রশ্ন তুলেছেন। এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, এত পানি কোথা থেকে এলো, কেনই বা গভীর রাতে সব গেট খুলে দিল। এই অসহায় গরীব দেশ কি এই প্রশ্নের উত্তর কোনদিনই জানবে না?’
অন্যদিকে বন্যাকবলিত মানুষদের ছবি দেখে যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন নুরুল হাসান সোহানও। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিখেছেন, ‘এই ছবি দেখার পর নিজেরে সম্পূর্ণ অসহায় লাগতেছে। আল্লাহ দয়া করে তাদের এই পরিস্থিতিতে সাহায্য করুন।’