কর ফাঁকির তদন্তমূলক রিপোর্টে ‘প্যান্ডোরা পেপার্স’-এ জড়িয়ে গেল শচীন টেণ্ডুলকারের নাম। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, শুধু শচীন নন, তালিকায় নাম আছে তার স্ত্রী অঞ্জলি ও শ্বশুর আনন্দ মেহতারও। শচীনের আইনজীবী কর ফাঁকির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এদিকে, পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, এ তালিকায় ৩০০ এর বেশি ভারতীয়র নাম আছে।
বিদেশে অ্যাকাউন্ট খুলে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এমন তারকা এবং রাজনীতিবিদদের একটি তালিকা রবিবারই প্রকাশ করেছিল আন্তর্জাতিক তদন্তমূলক সাংবাদিকদের একটি দল। ৯১টি দেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতার নামের সঙ্গে সেই তালিকায় রয়েছে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার শচীনের নামও।
শচীনের আইনজীবীর দাবি, প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের সমস্ত বিদেশি লেনদেন সম্পূর্ণ বৈধ। বিদেশে শচীন যা যা বিনিয়োগ করেছেন তার পুরো হিসাব কর কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হয়েছে।
তদন্তমূলক সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন আইসিআইজে রবিবার এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। কর দুর্নীতির যে খতিয়ান প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে জড়িয়েছে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতা, প্রাক্তন রাষ্ট্রনেতা এবং প্রথম সারির রাজনীতিবিদদের নাম। এদের মধ্যে রয়েছে জর্ডানের রাজা, চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রীর নামও। এমনকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ মহলের মন্ত্রী এবং রাজনীতিবিদেরাও। এ ছাড়া বর্তমান এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রনেতা এবং রাজনীতিবিদ মিলিয়ে বহু ব্যক্তির নাম রয়েছে তালিকায়। তবে শচীনের নাম প্রকাশ্যে এলেও ভারতের বাকি ছয় রাজনীতিবিদের নাম প্রকাশ্যে আসেনি।
এই গোপন তদন্তে যুক্ত ছিলেন বিশ্বের ৬০০ জন তদন্তমূলক সাংবাদিক। বিশ্বের মোট ১৪টি আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থার থেকে এক কোটি ১৯ লক্ষ নথি প্রকাশ্যে আনেন এই তদন্তমূলক সাংবাদিকেরা।