শিরোপা ধরে রাখার মিশনে ফাইনালে প্রতিপক্ষ ভারতকে পেয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের ফাইনালে উঠেছে ভারতের যুবারা।
দুবাইয়ে ১১৭ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের। ২৮ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও কালাম সিদ্দিকি সাজঘরে ফেরেন।৪ চারে জাওয়াদ ১৬ রান করলেও সিদ্দিকি আউট হন ১৪ বলে ‘ডাক’ মেরে।
তবে তৃতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়ে জয়ের কাজটা প্রায় সারেন আজিজুল হাকিম তামিম ও মোহাম্মদ শিহাব জেমস। ২৬ রানে জেমস আউট হলে সতীর্থ রিজান হোসেনকে নিয়ে বাকি কাজুটুকু সারেন তামিম। অধিনায়ক তামিমের ৫৭ রানের বিপরীতে ৫ রানে অপরাজিত থাকেন রিজান।
তবে প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরান চলতে থাকে আইপিএলে কোটিপতি বনে যাওয়া সূর্যবংশীর। যখন থামলেন তখন তার নামের পাশে ১৮৬.১১ স্ট্রাইকরেটে ৬৭ রান। ৩৬ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৬ চার ও ৫ ছক্কায়। তার আউটের পরে অপরাজিত ২৫ রানের ইনিংস খেলে জয়ের কাজটা সারেন অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান। আর ১১ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন কেপি কার্তিকেয়া।
এর আগে টস জিতে শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায়। চেতন শর্মার পেসে ৮ রানে ৩ উইকেট হারায়। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে ৯৩ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন শারুজান শানমুগানাথন ও লাকভিন অভয়সিংহে। তবে ব্যক্তিগত ৪২ রানে শারুজান আউট হওয়ার পর একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। এক প্রান্ত আগলে রেখে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে পরে ১৭৩ রান এনে দেন অভয়সিংহে। ভারতের হয়ে ৩৪ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন চেতন।