ঘরের মাঠে চলতি মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সিরিজ শেষ করেই দুই টেস্ট ও তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাবে টাইগাররা। এই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার মূল ভেন্যু সেঞ্চুরিয়ান, জোহানেসবার্গ, ডারবান ও পোর্ট এলিজাবেথে খেলবে বাংলাদেশ।
সফর শুরু ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে। শেষ হবে টেস্ট সিরিজে। প্রথম টেস্ট ডারবানে ৩১ মার্চ-৪ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় টেস্ট ৮-১২ এপ্রিল পোর্ট এলিজাবেথে। টাইগাররা এই প্রথম ডারবান ও পোর্ট এলিজাবেথে টেস্ট খেলবে। ওয়ানডে তিনটি আইসিসি সুপার লিগের এবং টেস্ট দুটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের। তবে ২৭ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৫তম আসরে দল পেলে দক্ষিণ আফ্রিকা সময়ের দুই টেস্ট খেলবেন না সাকিব আল হাসান।
ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টেস্ট না খেললেও সফরের ৩টি ওয়ানডে খেলবেন সাকিব। মূলত আইপিএলের জন্যই টেস্ট সিরিজ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস গণমাধ্যমকে বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে নিশ্চিতভাবেই ওয়ানডে খেলবে সাকিব। তবে টেস্ট খেলার ব্যাপারে এখনো বোর্ডকে কোনোকিছুই জানাননি তিনি। তবে এরপর শ্রীলঙ্কার সফরে দুই টেস্টের যে সম্ভাব্য সূচি আছে আগামী ৩ মে থেকে ২৫ মে। এই সময় জাতীয় দলের সঙ্গে থাকবেন টাইগার অলরাউন্ডার।
আজ বৃহস্পতিবার টাইগারদের টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনও একটু ঘুরিয়ে বলেন, সাকিব রঙিন পোশাকের ম্যাচ খেলবেন। তবে টেস্ট নিয়ে তার হয়তো অন্য পরিকল্পনা আছে। বিসিবি দু-একদিনের মাঝেই সিদ্ধান্ত জানাবে। তার মানে, সাকিব টেস্ট খেলবেন না বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। আর তাতেই সমালোচনার শুরু।
এর জবাবে সাকিবের হয়ে সোশ্যাল সাইটে এবার সরব হয়েছেন তার সহধর্মিণী উম্মে আহমেদ শিশির? আজ তার একটি স্ট্যাটাস নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে শিশির নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘আপনার যত কম থাকবে, ততই আপনি প্রশংসিত হবেন এবং ভালোবাসা পাবেন। কিন্তু আপনার যত বেশি থাকবে, আপনি ততই কম প্রশংসিত হবেন এবং জুটবে ঘৃণা।’
পরিপ্রেক্ষিত যেহেতু টেস্ট থেকে সাকিবের ছুটি- শিশিরের পোস্ট নিয়ে তাই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তার পোস্টে অনেকেই সাকিবের হয়ে কমেন্ট করছেন। বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব যে বাংলাদেশের পোস্টার বয়, সেকথাও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ জাতীয় দল থেকে সাকিবের ঘন ঘন ছুটি নেওয়ার সমালোচনাও করছেন।