রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি হাসল ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুলতান সুলতান্সের বিপক্ষে ইনিংসের শেষ বলে ২ উইকেটের জয় ছিনিয়ে নিল ইসলামাবাদ। এদিনের ম্যাচে ইসলামাবাদের হয়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে নায়ক হয়ে গেলেন ইমাদ ওয়াসিম। বল হাতে পাঁচ উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়ার পরে ব্যাট হাতে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।
ইমাদ পিএসএল ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে ফাইনালে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। তারপরই ড্রেসিংরুমে বসে মনের সুখে সিগারেটে টান দিতে দেখা গেল পাকিস্তানের তারকা ইমাদকে। মোহম্মদ রিজওয়ানদের মুলতান সুলতান্সের ব্যাটিং চলছিল। আর সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। ইমাদের স্টাইল দেখে মজেছেন নেটিজেনরা। অনেকে তো বলছেন যে ফাইনালে পাঁচ উইকেট নিয়ে বিপক্ষকে ধ্বংস করে দেওয়ার পরে একটা সিগারেটে তো টান দেওয়াই যেতে পারে। অনেকে আবার প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন যে ম্যাচের মধ্যেই ড্রেসিংরুমে বসে সিগারেটে টান দেওয়া যায়?
যে ছবি ভাইরাল হয়েছে, তা মুলতানের ইনিংসের ১৮ তম ওভারে হয়েছে। ১৭.৪ ওভারে ১২৭ রানে নয় উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল মুলতান। আর ড্রেসিংরুমে বসে সিগারেটে টান দিচ্ছিলেন ইসলামাবাদের তারকা। যিনি পিএসএল ফাইনালে চার ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন। তাঁর সেই দুরন্ত বোলিংয়ের সুবাদেই ফাইনালে নয় উইকেটে ১৫৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি মুলতান। তাও ইমাদের বোলিং কোটা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে দশম উইকেটে ৩২ রান যোগ করেন ইফতিকার আহমেদ এবং মহম্মদ আলি।
ফাইনালের দ্বিতীয় ওভারেই বল করতে আসেন ইমাদ। তৃতীয় বলেই আউট করে দেন ইয়াসির খানকে। সেই ওভারের শেষ বলেই দুর্ধর্ষ কায়দায় ডেভিড উইলিকে ড্রেসিংরুমে ফিরিয়ে দেন ইমাদ। তারপর দ্বাদশ ওভারে জনসন চার্লসকে আউট করে দেন। আর নিজের চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে খুশদিল শাহ এবং তৃতীয় বলে ক্রিস জর্ডনকে আউট করেন। হ্যাটট্রিকের মুখেও দাঁড়িয়েছিলেন ইমাদ। আর তাঁর সুবাদেই ১২৬ রানে আট উইকেট হারিয়ে ফেলে মুলতান। যা শীঘ্রই ১২৭ রানে নয় উইকেটে পরিণত হয়। সেই নবম উইকেটও পড়ে ইমাদের ওভারের শেষ বলে।
শেষপর্যন্ত নয় উইকেটে ১৫৯ রান তোলে মুলতান। ২০ বলে ৩২ রান করেন ইফতিকার। তাছাড়া ৪০ বলে ৫৭ রান করেন উসমান। ২৬ বলে ২৬ রান করেন মুলতানের অধিনায়ক রিজওয়ান। অন্যদিকে, ইসলামাবাদের হয়ে তিনটি উইকেট নেন অধিনায়ক শাদাব খান। চার ওভারে ৩২ রান খরচ করেন। বাকি কোনও বোলার উইকেট পাননি। সেই রান তাড়া করতে নেমে ১৫ ওভারের শেষে ইসলামাবাদের স্কোর দাঁড়িয়েছে চার উইকেট ১১৬ রান। জয়ের জন্য ৩০ বলে ৪৪ রান প্রয়োজন।