একেই বোধ হয় বলে ‘হরিষে বিষাদ’। নিজের ভুলে আনন্দের দিনটা মাটি করলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তার আবিষ্কার হাবিবুর রহমান সোহান শুক্রবার রাতে শেরে বাংলায় দেখালেন ব্যাটিং তাণ্ডব। রাজশাহীর সবে কৈশোর পার করা এ আনকোরা যুবার ৯ বলে ৩০ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ভর করে রুদ্ধশ্বাস এক লড়াইয়ে সাকিবের ফরচুন বরিশালকে হারালো খুলনা টাইগার্স।
গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে জয়ের হাসি নিয়ে শেষ করলো এবারে পুরো বিপিএলেই ধুঁকতে থাকা খুলনা টাইগার্স। কিন্তু এ সাফল্যের আনন্দটা উপভোগ করতে পারলেন না খুলনা কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।
খেলা চলাকালীন ড্রেসিংরুমে ধূমপান করে রীতিমত নিন্দিত ও সমালোচিত জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরই মধ্যে ধূমপানরত সুজনের ছবি ভাইরাল।
ক্রিকেট সমর্থকদের প্রশ্ন- জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান টিম ডিরেক্টর হয়েও খালেদ মাহমুদ সুজন এ কী করলেন? ড্রেসিংরুমে ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িযে ধূমপান করা যে ক্রিকেটীয় রীতি, নীতি ও সংস্কৃতির সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয়।
সুজনের ড্রেসিংরুমে ধূমপানের বিষয়টি নিয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন বরিশাল ও খুলনা ম্যাচ রেফারি সাবেক ক্রিকেটার দেবব্রত পাল। দেবব্রত যদিও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন।
দেবব্রত জানান, তিনি শেরে বাংলা স্টেডিয়াম থেকে খেলা শেষে ফেরার পর মোবাইলে ফুটেজটি দেখেছেন। এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে চাননি দেবব্রত। শুধু বলেছেন, ড্রেসিংরুমে ধূমপান ক্রিকেটীয় স্পিরিটের পরিপন্থী অবশ্যই।
এই ক্ষেত্রে খালেদ মাহমুদের কী শাস্তি হতে পারে? জানতে চাইলে ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পালের কথা, ‘আমি শুধু ফুটেজ দেখেছি। এ নিযে এখনই কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।’
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ ক্ষেত্রে হয় মৌখিক সতর্ক, না হয় ম্যাচ ফি কর্তনের সম্ভাবনাই বেশি। সূত্র আরও জানায়, সাধারণত বয়সে তরুণ ও অনভিজ্ঞদের কেউ এমন কাজ করলে তাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়।