যেহেতু তিনি পরে নির্বাচক পদে নিয়োগ পেয়েছেন, তাই আবদুর রাজ্জাকের মেয়াদ এখনো বাকি। যে কারণেই এ মুহুর্তে ও আগামী অন্তত এক বছর বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচক পদে বহাল থাকবেন রাজ্জাক।
কিন্তু প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এবং অপর নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের চুক্তি ও কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩১ ডিসেম্বর। সুতরাং, ক্রিকেট অনুরাগিদের কৌতুহলি চোখ এখন নান্নু আর সুমনের দিকে স্থির হয়ে আছে। তাদের সাথে আনুষ্ঠানকিভাবে বিসিবির চুক্তি শেষ হওয়ার পর ১৩ দিন পার হয়ে গেছে। এখনো কি তারা নির্বাচক পদে রয়েছেন? তাদেরকে এখনো নির্বাচক বলা যায় কি?
উত্তর খুঁজতে ফোন দেয়া হলো জাতীয় দল পরিচালনা, পরিচর্য্যা এবং তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা বিসিবি স্ট্যান্ডিং কমিটি ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান জালাল ইউনুসের কাছে। আজ শনিবার বিকেলে সাথে আলাপে জালাল দিয়েছেন এ কৌতুহলি প্রশ্নের জবাব।
জালাল জানান, ‘মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আর হাবিবুল বাশারের সাথে আমাদের (বিসিবির) ৩১ ডিসেম্বর চুক্তি শেষ হলেও তারা এখনো নির্বাচক।’
সেটা কিভাবে? জালালের ব্যাখ্যা,‘যতক্ষন পর্যন্ত না নতুন কোন প্রধান নির্বাচক আর একজন নির্বাচক নিয়োগ পাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত নান্নু আর সুমন পুরনো পদে বহাল থাকবে। আর রাজ্জাকের সাথে আমাদের চুক্তি আছে। তাই সে বহাল আছে। থাকবেও।
তাহলে প্রধান নির্বাচক নান্নু আর হাবিবুল বাশারের ব্যাপারে বোর্ডের সিদ্ধান্ত কী? তারা কী থাকবেন? তাদেরকে কি আবারো দায়িত্ব দেয়া হবে? নাকি তাদের চুক্তি না বাড়িয়ে নতুন প্রধান নির্বাচক আর অন্য আরেক নির্বাচক নিয়োগ দেয়া হবে?
এ প্রশ্নের জবাবে ক্রিকেট অপস চেয়ারম্যানের ব্যাখ্যা, সেটা বিসিবির পরবতী বোর্ড সভায় ঠিক হবে। জালাল জানালেন, চলতি মাসের শেষ ভাগেই বোর্ড পরিচালক পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেই সভায় নান্নু আর সুমনের ভাগ্য নির্ধারিত হবে।
জালালের কথা, চলতি মাসের শেষ অংশে আমাদের পরিচালক পর্ষদের সভায় নির্ধারিত হবে প্রধান নির্বাচক নান্নু ও অপর নির্বাচক সুমনের ভাগ্য। বিসিবি পরিচালকরা বোর্ড মিটিংয়ে ঠিক করবেন। যদি পরিচালকরা মনে করেন নান্নু আর সুমনের জায়গায় নতুন কাউকে নিয়োগ দিতে হবে। তাহলে সে সভাতেই নতুন নির্বাচক নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। আর রিচালকরা না চাইলে হবে না। নান্নু ও সুমন নিজ নিজ পদে বহাল থাকবে।’