র্যাংকিংয়ে ৬১ ধাপ এগিয়ে থাকা মালয়েশিয়াকে ৬-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দেওয়ার ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন। শুধু গোলই নয়, ম্যাচজুড়েই আলো ছড়িয়েছেন সিরাজগঞ্জের এই মেয়ে। ম্যাচের মধ্যমণি হয়ে ছিলেন আঁখি। তার এমন পারফরম্যান্সে প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক’ও হয়তো মুগ্ধ হয়েছেন।
তা না হলে কি আর ম্যাচ চলাকালীন আঁখির সম্পর্কে জানার আগ্রহ দেখায়!
ম্যাচজুড়ে ফুটবল পায়ে সৌরভ ছড়ানো আঁখিকে নিয়ে কৌতূহল জন্মায় মালয়েশিয়ান অধিনায়ক স্টেফি সার্জ কৌরের। তাই ম্যাচ চলাকালীনই আঁখির সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন তিনি। এ ব্যাপারে আঁখি বলেন, ‘ম্যাচের সময় তো কথা বলার সুযোগ হয় না। সে শুধু আমাকে জিজ্ঞেস করেছে, আমার বয়স কত এবং কী কী খাই। এটা শুনে আমি শুধু হেসেছি। ‘
দলের ২৩ ফুটবলারের মধ্যে উচ্চতায় সবচেয়ে বড় আঁখি খাতুন। তার উচ্চতার সুযোগ কাজে লাগাতে অনুশীলনের সেট পিসে তাকে নিয়ে বেশি কাজ করেছেন গোলাম রব্বানী ছোটন। অনুশীলনের সেই টোটকা আজ ম্যাচে কাজে লাগিয়েছেন আঁখি। ম্যাচ শেষে সংবাদকর্মীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি।
জোড়া গোল করেছেন, কেমন অনুভূতি হচ্ছে- এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বরাবরের মতোই খানিকটা লজ্জাবতী হয়ে গেলেন আঁখি। তারপর বললেন, ‘২০১৭ সালে এই দলের কাছে হেরেছিলাম, কঠোর পরিশ্রম করেছি, তাই আজ জিতলাম। পার্থক্য হচ্ছে, ওরা করোনার মধ্যে অনুশীলন করেনি, কিন্তু আমরা করেছি। গোল করতে পেরে ভালো লাগছে। ‘