বোলিং মার্কে যাওয়ার সময় কিছুটা নিচু হয়ে হাঁটুর ‘নি ক্যাপ’ টেনে তুলতে দেখা যায় মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর শুরু করেন দৌঁড়। নেপথ্যে ইনজুরি। চোটের সঙ্গে মাশরাফির সখ্যতা নতুন নয়। বেরসিক ইনজুরির কারণে মোট দশবার ছুরি-কাঁচির নিচে যেতে হয়েছে বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়ককে। ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময় হাঁটু আর গোড়ালির চোটে ভুগলেও এখন মাশরাফিকে তাড়া করছে ‘ব্যাক পেইন’। বিপিএলের অষ্টম আসরে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার হয়ে খেলতে নেমে চোটে পড়েন নড়াইল এক্সপ্রেস। চোট সারিয়ে উঠতে ফের অস্ত্রোপচার করতে হবে মাশরাফিকে।
আগামী ১৫ই মার্চ থেকে শুরু হবে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ।
সদ্যই শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব ছেড়ে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জে যোগ দিয়েছেন মাশরাফি। তবে চোটের কারণে নতুন দলের হয়ে তার খেলা নিয়ে জেগেছে শঙ্কা। রূপগঞ্জে যোগ দেয়ার পর মাশরাফি জানান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে ভারতে যাচ্ছেন তিনি। মাশরাফি বলেন, ‘আমার অ্যাপয়েনমেন্ট নেয়া ৯ই মার্চের। আমি যাচ্ছি চারদিন আগে। প্রথম ক’দিন পরিবারকে সময় দেবো। ৯ তারিখ অ্যাপোলো হাসপাতালে (চেন্নাইয়ে) ডাক্তার দেখাবো। তিনি (ডাক্তার) স্ক্যানের ছবি দেখে অ্যাপয়েনমেন্ট দিয়েছেন। সামনাসামিন দেখার পর অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেবেন।’
মাশরাফি বলেন, ‘আমার ইচ্ছা প্রিমিয়ার লীগের পর অস্ত্রোপচার করানোর। কিন্তু চিকিৎসক চাচ্ছেন আগেই করাতে। এটা এখন মিলিয়ে নিতে হবে। আমার কোমড়ের ডিস্কে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। লীগ শুরুর আগে এক মাস সময় পেলে আগেই করাতাম। কিন্তু সেই সময়টুকু তো নেই।’
মাশরাফি টেস্ট ক্রিকেট ছেড়েছেন অনেক আগেই। ২০১৭ সালে টি-টোয়েন্টি থেকে নেন অবসর। ২০২০ সালের মার্চের পর থেকে ওয়ানডে দলেও। তবে ইনজুরি সঙ্গে নিয়েই যতদিন সম্ভব খেলা চালিয়ে যেতে চান মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘ঢাকা লীগ তো খেলছি। মাছে কিছুদিন লীগ হয়নি। দেখা যাক সামনে। একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। পুরো ক্যারিয়ারে যারা আমাকে সমর্থন করেছে তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’