বিখ্যাত। এই শব্দটা নামের আগে অনেকেই লাগাতে চান। তবে সবার কপালে সেটা জোটে না। কিন্তু অনেকেই আবার হঠাৎ করেই নিজ কাজের গুণে বিখ্যাত বনে যান। ইয়ান বেস্টউইকও তেমনই। আর তাকে বিখ্যাত করেছে একটা বড় মাপের ০। এক শূন্যতেই তিনি একরকম জগতজোড়া খ্যাতি পেয়েছেন। তবে এই শূন্য অর্জন করাটা মোটেও সহজ নয়।
ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ারের নবম বিভাগের দল ডার্লি অ্যাবি ক্রিকেট ক্লাবের এই ব্যাটার রান না করেই হিরো বনে গেছেন। গত শনিবার মিকলওভারের বিপক্ষে ১৩৭ বল খেলে অপরাজিত থেকেও তিনি কোনো রান করতে পারেননি। আসলে রান নেয়ার কোনো চেষ্টাই তিনি করেননি। উইকেটে নিশ্চল পাথরের মতো পড়ে থেকেছেন। আর তার এমন কাণ্ডে দল হারের হাত থেকে বেঁচেছে। ম্যাচ হয়েছে ড্র। দলের ভাগ্যে কিছু পয়েন্টও মিলেছে।
সেই কাজে ইয়ান বেস্টউইক দোসর হিসেবে পেয়েছিলেন তার ছেলে টমাস বেস্টউইককেও। বাবা-ছেলে মিলে ১১ রানের জুটিও গড়েছেন। যে জুটিতে বাবার যে কোনো অবদান ছিল না, সেটা তো জানাই আছে। বাবার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ডট বল দিয়েছেন টমাসও। তবে বাবার মতো নিখুঁত হতে পারেননি সেই কাজে। কী করে যেন একটি বাউন্ডারি মেরে ৪ রান পেয়ে যান টমাস।
আর সে কারণে বিশ্বজুড়ে মাতামাতি চলছে বাবাকে নিয়ে। ইয়ান বিবিসি রেডিও ডার্বিকে জানিয়েছেন, ‘পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে এই খবর। অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, কাতার কত জায়গায়। বিশ্বের সব জায়গা থেকেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাচ্ছি আমি।’
বোল্ড হয়েও নো বলের কারণে একবার বেঁচে যাওয়া ইয়ান কোনো রান না করেই খবর। অথচ এ ম্যাচেই প্রতিপক্ষের ওপেনার ম্যাক্স টমসন ১২৮ বলে ১৪ ছক্কা ও ১৭ চারে ১৮৬ রান করেও ঢাকা পড়েছেন শূন্যের ছায়ায়।